Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • Jyoti Malhotra: ‘নিখোঁজ চ্যাট’, ‘নিষিদ্ধ সংযোগ’: জ্যোতির ডিজিটাল দুনিয়ায় তদন্তকারীদের চমক!
দেশ

Jyoti Malhotra: ‘নিখোঁজ চ্যাট’, ‘নিষিদ্ধ সংযোগ’: জ্যোতির ডিজিটাল দুনিয়ায় তদন্তকারীদের চমক!

Email :42

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রার (Jyoti Malhotra) পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ আরও চার দিন বাড়িয়েছে আদালত। ফলে ২৫ মে পর্যন্ত তিনি থাকবেন পুলিশি নজরবন্দিতে (Jyoti Malhotra)।

হরিয়ানার হিসারে জ্যোতিকে (Jyoti Malhotra) ১৭ মে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথমে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয় তাকে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর, আদালতের নির্দেশে আরও চার দিন বাড়ানো হয়েছে তার হেফাজতের মেয়াদ।

তদন্তে উঠে এসেছে, ২০২৩ সাল থেকে জ্যোতি একাধিক পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। পুলিশ সন্দেহ করে, তিনি দিল্লির পাকিস্তান হাই কমিশনে কর্মরত এক অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন। সেই সন্দেহ থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসে।

জানা গিয়েছে, দিল্লি-স্থিত পাকিস্তান হাই কমিশনের অফিসার এহসান দার ওরফে দানিশের সঙ্গে জ্যোতির সরাসরি যোগাযোগ ছিল। শুধু তাই নয়, আরও কয়েকজন পাক গোয়েন্দা আধিকারিকের সঙ্গেও তার আলাপ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। একটি নাম উঠে এসেছে— ‘জাট রনধাওয়া’। তবে এই নামে কাউকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন, এটি একটি ছদ্মনাম হতে পারে, যার মাধ্যমে পাকিস্তানের গুপ্তচর নেটওয়ার্ক ভারতীয় মাটিতে সক্রিয় ছিল।

প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গেছে, ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত দানিশের সঙ্গে জ্যোতির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের এক গোপন কার্যক্রম চলাকালীন এই যোগাযোগ বিশেষভাবে সক্রিয় ছিল বলেও দাবি গোয়েন্দাদের। যদিও মার্চের পর থেকে আর কোনও চ্যাট বা বার্তার রেকর্ড পাওয়া যায়নি, যা তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে।

জ্যোতির কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ এবং আরও কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস। সেগুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

তবে পুলিশের বক্তব্য, এখন পর্যন্ত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সংক্রান্ত কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জ্যোতির হেফাজতে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগেরও প্রমাণ এখনও মেলেনি।

এরই মধ্যে একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে জ্যোতিকে দেখা গেছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যার সঙ্গে। সেই ছবি ঘিরে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে গোটা ঘটনা ঘিরে।

এই মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, সত্যি কী, আর এই গোটা ষড়যন্ত্রের পেছনে কে বা কারা জড়িত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts