বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার আবেদনের উপর রায় ঘোষণা করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি এজি মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ আজ জানিয়ে দিল, সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী তদন্ত রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি ভার্মার যে আর্জি, তা গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে এই আবেদন খারিজ করে দিল বেঞ্চ (Supreme Court)।
এই মামলার রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল ৩০ জুলাই। বৃহস্পতিবার সেই স্থগিত রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রায় ঘোষণার সময় আদালত জানিয়ে দেয়, যেহেতু বিচারপতি ভার্মা নিজেই ইন-হাউস তদন্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে সেই তদন্তের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাই সেই যুক্তির আর কোনও ভিত্তি নেই (Supreme Court)।
আদালত (Supreme Court) স্পষ্ট জানায়, গোটা তদন্ত প্রক্রিয়াটিই হয়েছে সংবিধান ও আইন মেনেই। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “এই তদন্ত কোনও সমান্তরাল বিচারিক ব্যবস্থা নয়, বরং এটি একটি আইনসঙ্গত, গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। তাই এই মামলায় আমাদের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।”
বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠে, যখন তাঁর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট একটি ‘ইন হাউস’ তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি রিপোর্ট জমা দেয় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার হাতে। সেই রিপোর্টে ভার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর, বিচারপতি খান্না সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে বিচারপতি ভার্মার অপসারণের সুপারিশ করেন।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই ফের সুপ্রিম কোর্টে যান যশবন্ত ভার্মা। তাঁর হয়ে সওয়াল করেন দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী কপিল সিবল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালত তাঁর আর্জি খারিজ করে দেয়।
এই রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট কার্যত জানিয়ে দিল যে বিচার ব্যবস্থার আভ্যন্তরীণ তদন্ত ও শৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে বাইরে প্রশ্ন তোলা আইনসঙ্গত নয়, বিশেষত যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজেই সেই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে থাকেন।