Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ব্লাড ব্যাঙ্কে ‘মারণ ত্রুটি’? থ্যালাসেমিয়া শিশুদের পর ৪ দাতা এইচআইভি পজিটিভ
দেশ

ব্লাড ব্যাঙ্কে ‘মারণ ত্রুটি’? থ্যালাসেমিয়া শিশুদের পর ৪ দাতা এইচআইভি পজিটিভ

blood transfusion
Email :4

ঝাড়খণ্ডে ভয়াবহ চিকিৎসা-অবহেলার অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য (Jharkhand HIV Case)। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত পাঁচ শিশুর রক্তে এইচআইভি ভাইরাস মিলতেই আতঙ্ক গ্রাস করেছিল পরিবার থেকে স্বাস্থ্যকর্তাদের। ঠিক সেই সময়েই সামনে এল আরও চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। এবার হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত দেওয়া চার রক্তদাতার শরীরেও মিলেছে এইচআইভি সংক্রমণ (Jharkhand HIV Case)। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে—রক্ত পরীক্ষার বাধ্যতামূলক নিয়ম থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই রক্ত শিশুদের দেওয়া হল? হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোথায় গেল?

ঘটনার সূত্রপাত ২৪ অক্টোবর। চাইবাসার সদর হাসপাতালে নিয়মিত রক্ত বদল করতে যাওয়া সাত বছরের এক থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর দেহে ধরা পড়ে এইচআইভি (Jharkhand HIV Case)। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ ছিল গুরুতর—“ব্লাড ট্রান্সফিউশনে হাসপাতালের দেওয়া রক্ত থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে।” অভিযোগ শুনেই নড়ে বসে প্রশাসন। তৈরি হয় পাঁচ সদস্যের বিশেষ মেডিক্যাল টিম (Jharkhand HIV Case)। পরদিনই আরও চার শিশুর রক্তে মিলল একই ভাইরাস। সকলেই নাকি ওই একই হাসপাতাল থেকে নিয়মিত রক্ত নিয়েছিল। ফলে হাসপাতাল থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাই প্রবল হয়ে ওঠে।

তদন্তে উঠে আসছে আরও উদ্বেগজনক তথ্য। জানা গেছে, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এই হাসপাতাল থেকে রক্ত দিয়েছেন মোট ২৫৯ জন দাতা। সেই রক্তদাতাদের নমুনা ফের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরমধ্যেই ৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায়, চার দাতা এইচআইভি পজিটিভ (Jharkhand HIV Case)। ফলে সন্দেহ আরও গভীর—রক্ত দেওয়ার আগে কি আদৌ ঠিক মতো স্ক্রিনিং হয়েছিল? যদি হয়ে থাকে, তবে এমন সুস্পষ্ট ঝুঁকি কীভাবে বাদ পড়ল? চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের বড় অংশের আশঙ্কা, শিশুদের যে রক্ত দেওয়া হয়েছিল, সেটিই সংক্রমণের উৎস। পাশাপাশি তল্লাশি চলছে ব্যবহৃত সূচ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নিয়েও।

এনএসিও-র গাইডলাইন বলছে, রক্ত নেওয়ার আগে দাতার শারীরিক অবস্থা, ব্যক্তিগত ইতিহাস এবং এইচআইভি-সহ সমস্ত সংক্রমণের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই ঘটনায় স্পষ্ট প্রশ্ন—সেই নিয়ম কি মানা হয়েছিল? না কি অবহেলা আর উদাসীনতার জেরে নিস্পাপ কয়েকটি শিশুর জীবনে নেমে এল অন্ধকার?

চাইবাসা হাসপাতালের এই অকল্পনীয় ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবারগুলি। তাঁদের আক্ষেপ, “চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আজ সারাজীবনের জন্য সন্তানরা রোগ নিয়ে ফিরল।” তদন্ত চলছে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—কখন জবাব দেবে হাসপাতাল? আর কত শিশুকে এমন দুঃস্বপ্নের মুখে পড়তে হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts