জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম থানা কেঁপে উঠল ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Police station blast)। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে, যখন পুলিশের বিশেষ দল ফারিদাবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকগুলির নমুনা পরীক্ষা করছিল। আচমকা বিস্ফোরণে থানা চত্বর মুহূর্তে আগুন ও ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। অন্তত আটজন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা (Police station blast)।
ফারিদাবাদের ডক্টর মুজ্জামিল গণাইয়ের ভাড়া বাড়ি থেকে বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক—প্রায় ৩৬০ কিলোগ্রাম—উদ্ধার করা হয়েছিল (Police station blast)। এই ঘটনায় তাঁকে-সহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সাদা পোশাকের সন্ত্রাসবাদী চক্র বা হোয়াইট-কলার টেরর মডিউল ভেঙে দেওয়ার অংশ হিসেবে পুলিশের হাতে আসে এই বিপুল বিস্ফোরক। কিন্তু সেই আটক বিস্ফোরকের নমুনা পরীক্ষা চলাকালীনই ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাত বাড়তেই আচমকা প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা (Police station blast)। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গিয়েছে, থানা ভবনের ভেতর থেকে আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসছে, বিস্ফোরণের ধাক্কায় চারপাশে ছিটকে যাচ্ছে ধ্বংসাবশেষ। বিস্ফোরণের পরে উদ্ধারকাজে নেমে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগেই শুক্রবার সন্ধ্যায় জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি নলিন প্রভাত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে হাইব্রিড রিভিউ মিটিং করেন। দিল্লির ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের পর থেকেই গোটা উত্তরাঞ্চলে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, সপ্তাহের শুরুতে লালকেল্লার কাছে একটি গাড়ি বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়, আরও বহু মানুষ জখম হন। কেন্দ্র সরকার সেই বিস্ফোরণকে “নৃশংস জঙ্গি হামলা” বলে নিন্দা করেছে এবং তদন্তকে দ্রুততার সঙ্গে এগোনোর নির্দেশ দিয়েছে।
নওগামের বিস্ফোরণের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা ও স্থানীয় পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে, বিস্ফোরক পরীক্ষার সময় নিরাপত্তা বিধি ঠিকভাবে মানা হয়েছিল কি না, অথবা কোনও বাহ্যিক প্ররোচনা ছিল কি না। রাতারাতি গোটা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।








