এক মাস আগেই ঘোষণা হয়েছিল— জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ গঠন করছে নিজস্ব মহিলা ব্রিগেড, নাম ‘জামাত-উল-মোমিনাত’ (Delhi Blast)। কিন্তু ঘোষণাতেই থেমে থাকেনি তারা। এবার সেই সংগঠনের ভারতীয় শাখার প্রধান হিসেবে উঠে এল এক মহিলা চিকিৎসকের নাম— শাহিন শাহিদ (Delhi Blast)। দিল্লির বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্ত নেমে এই মহিলা জঙ্গি নেত্রীর হদিশ পেয়ে গিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সূত্রের খবর, শাহিন শাহিদ কোনও সাধারণ চিকিৎসক নন। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের এই মহিলা ব্রিগেডের শীর্ষপদে রয়েছেন জইশ প্রধান মাসুদ আজ়হারের নিজের বোন (Delhi Blast)। তাই শাহিনের সঙ্গে ওই পরিবারের যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। শাহিনকে গ্রেফতারের পরেই প্রকাশ্যে আসে তার গোপন পরিচয়— তিনি ছিলেন ‘জামাত-উল-মোমিনাত’-এর ভারতীয় ইউনিটের প্রধান।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাতে গত অক্টোবরেই ধরা পড়ে এক চিকিৎসক আদিল আহমেদ র্যাদা (Delhi Blast)। অভিযোগ, পাকিস্তানি জঙ্গিদের প্রচারে অংশ নিয়ে তিনি শ্রীনগরে দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার সাঁটছিলেন। তাঁকে জেরা করেই পুলিশ পৌঁছে যায় আরেক চিকিৎসক— মুজাম্মিল আহমেদের কাছে, যিনি ফরিদাবাদের একটি হাসপাতালে কাজ করতেন। পুলিশের দাবি, মুজাম্মিলের মাধ্যমেই ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক কাশ্মীর থেকে হরিয়ানায় আনা হয়েছিল।
ফরিদাবাদে যে বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, সেখানে মুজাম্মিলের সঙ্গে ভাড়া থাকত শাহিন শাহিদও (Delhi Blast)। দু’জনেই চিকিৎসক, কিন্তু তাদের আসল কাজ ছিল— জইশের নাশকতা চক্রকে চালানো। তদন্তকারীদের মতে, শাহিন ছিলেন সংগঠনের ‘ইন্টেলিজেন্স ও কো-অর্ডিনেশন হেড’, যিনি ভারতীয় মাটিতে মহিলা জঙ্গি বাহিনী গড়ে তোলার দায়িত্বে ছিলেন।
এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখাও নামিয়েছে আলাদা টিম। তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক ও দিল্লি বিস্ফোরণের মধ্যে কোনও যোগ আছে কি না। পুলিশের ধারণা, শাহিন, মুজাম্মিল ও পুলওয়ামার চিকিৎসক উমর নবির মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে দিল্লির বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়ির পাশে এক সন্দেহভাজন— তাকে উমর বলে শনাক্ত করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে— মুজাম্মিলের গ্রেফতারির পরই কি আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল এই জঙ্গি চক্র?
নিরাপত্তা সূত্রে খবর, শাহিন শাহিদকে জেরা করে আরও বড় জঙ্গি মডিউল ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মাসুদ আজ়হারের বোন ও পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে থাকা মহিলা ব্রিগেডের কার্যকলাপ খতিয়ে দেখছেন।
এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “এটা প্রথমবার, যখন জইশ-ই-মহম্মদ ভারতের মাটিতে সরাসরি মহিলা জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছে। শাহিন শাহিদ সেই প্রক্রিয়ার মুখ।”
দেশজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনায়। মহিলা চিকিৎসকের জঙ্গি সংযোগ ও তার পেছনে পাকিস্তানি হাত— দুটিই এখন তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দু।







