সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত ও মহারাষ্ট্রে আইএসআইএস মডিউলের মূল চক্রী (IS Leader) সাকিব নাচন মারা গেলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরে গত সপ্তাহে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই দোষী সাব্যস্ত জঙ্গি নেতা (IS Leader) ।
সাকিব নাচনের (IS Leader) সন্ত্রাসের ইতিহাস দীর্ঘ। ২০০২ ও ২০০৩ সালে মুম্বইয়ে পরপর বিস্ফোরণে তাঁর সক্রিয় ভূমিকার জন্য তিনি (IS Leader) ২০১৬ সালে দোষী সাব্যস্ত হন। ১০ বছরের সাজা ভোগের পর ২০১৭ সালে মুক্তি পান তিনি (IS Leader) । জেল থেকে বেরিয়ে ফের সন্ত্রাসের পথে ফিরে যান সাকিব। ওই বছরই তিনি ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন এবং মহারাষ্ট্রের থানে জেলার পদঘার বোরিভলি গ্রামে নিজের বাড়িকে সন্ত্রাসের কেন্দ্রে পরিণত করেন।
স্থানীয় যুবকদের জেহাদি ভাবাদর্শে দীক্ষিত করে সন্ত্রাসবাদে টানার পাশাপাশি সেখানে অস্ত্র প্রশিক্ষণও চালাতেন তিনি। এমনকি, সাকিব তাঁর গ্রামকে “আল শাম” বলে ঘোষণা করেছিলেন—সিরিয়ার মতো একটি ‘মুক্ত এলাকা’ যা শুধুমাত্র শরিয়তি আইনে চলবে, দেশের কোনো আইন সেখানে মানা হবে না বলেও হুমকি দেন তিনি।
২০২৩ সালে এনআইএ (জাতীয় তদন্ত সংস্থা) সারা দেশে আইএস-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় পদঘাতে তল্লাশি চালায় এবং নাচন-সহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি, জেহাদি প্রচারপত্র এবং নগদ টাকা উদ্ধার হয়। তদন্তে উঠে আসে সিরিয়ায় আইএস-এর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন নাচন।
এই মাসের শুরুতেই মহারাষ্ট্র ATS ফের তাঁর বাড়িতে এবং তাঁর সঙ্গীদের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় একটি নতুন জঙ্গি ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষিতে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। দ্রুত তাঁকে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
দিল্লির হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। রবিবার থানের পদঘার এলাকার বোরিভলি গ্রামে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে।