এক কথায় সিনেমার মতো ঘটনা! ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফাঁস হল আন্তর্জাতিক সোনা পাচার চক্রের জাল (Gold Smuggling)। ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (DRI) শনিবার এক নজিরবিহীন অভিযানে উদ্ধার করেছে ১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বিদেশি সোনা এবং গ্রেপ্তার করেছে ১৩ জনকে, যার মধ্যে রয়েছেন বিদেশি নাগরিক, বিমানবন্দর কর্মী ও মূল মাস্টারমাইন্ড (Gold Smuggling)।
অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে — “অপারেশন গোল্ডেন সুইপ”।
DRI সূত্রে জানা গেছে, অভিযানের (Gold Smuggling) সময় উদ্ধার করা হয় প্রায় ১০.৫ কিলোগ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা, যা রাখা ছিল মোমে মোড়া ডিম্বাকৃতি ক্যাপসুলের ভেতরে।
সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় — এই সোনা বহন করা হচ্ছিল যাত্রীদের শরীরের ভেতরে (ইন্টারনালি), যাতে কেউ টের না পায়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন দুই বাংলাদেশি, ছয় শ্রীলঙ্কান নাগরিক, দুই বিমানবন্দর কর্মী, দুই হ্যান্ডলার এবং এক মূল হোতা, যে গোটা অপারেশনটি পরিচালনা করছিল (Gold Smuggling)। DRI-এর তদন্তে উঠে এসেছে এক অত্যন্ত সংগঠিত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, যেখানে দুবাই, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও ঢাকাগামী ট্রানজিট যাত্রীদের ব্যবহার করা হতো ক্যারিয়ার হিসেবে। এই যাত্রীরা সোনা শরীরের ভেতরে বহন করে মুম্বই বিমানবন্দরের ইন্টারন্যাশনাল ডিপারচার এরিয়ায় পৌঁছে তা তুলে দিত সহযোগীদের হাতে (Gold Smuggling)।
এরপর বিমানবন্দরের ভেতরের কর্মীরাই সেই সোনা গোপনে বাইরে পাঠিয়ে দিত হ্যান্ডলারদের কাছে।
DRI জানিয়েছে, এই কৌশলটি ছিল “ইনসাইডার হেল্প”-এর এক নিখুঁত উদাহরণ, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় উদ্বেগের কারণ।
তদন্তে জানা গেছে, চক্রটির মূল নিয়ন্ত্রকরা ছিলেন মুম্বই ও দুবাই-ভিত্তিক দুই “কিংপিন”, যারা আলাদা আলাদা স্তরে লোক বসিয়ে রেখেছিল — ক্যারিয়ার, বিমানবন্দর কর্মী, হ্যান্ডলার, রিসিভার — সবাই রিপোর্ট করত সরাসরি ওই মাস্টারমাইন্ডকে। একজন DRI আধিকারিক বলেন, “এই চক্রের কাঠামো ও ইনসাইডার ব্যবহার দেখাচ্ছে আন্তর্জাতিক পাচার এখন কতটা জটিল ও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।”
DRI জানিয়েছে, এটি তাদের সবচেয়ে সফল গোয়েন্দা অভিযানগুলির মধ্যে একটি। সংস্থাটি এখন তদন্ত করছে চক্রটির বিদেশি সংযোগ ও মানি ট্রেইল। অধিকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, এই নেটওয়ার্কের প্রত্যেক সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং ভবিষ্যতেও এরকম পাচার রোধে কঠোর নজরদারি চলবে।