সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Water Treaty) কার্যত স্থগিত, সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না হলে কোনও আলোচনায় রাজি নয় নয়াদিল্লি—এই কঠোর অবস্থানে অনড় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। একদিকে পাকিস্তান জলের দাবিতে (Indus Water Treaty) ভারতের জলশক্তি মন্ত্রককে চিঠি লিখে আবেদন জানাচ্ছে, অন্যদিকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘পাকিস্তানের (Indus Water Treaty) সঙ্গে আলোচনা হলে তা শুধুই সন্ত্রাসবাদ ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই হবে।’’
সূত্রের খবর, ভারতের সিন্ধু নীতি কড়া হওয়ার জেরে পাকিস্তানে ইতিমধ্যেই ২১ শতাংশ সেচজলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে খরিফ মরশুমে ফসল বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ভুগছে ইসলামাবাদ।
জল না পেয়ে আবেদন পাকিস্তানের
সম্প্রতি পাকিস্তানের জলসম্পদ সচিব সৈয়দ আলি মুর্তজা ভারতের জলশক্তি মন্ত্রককে একটি চিঠি পাঠান। তাতে উল্লেখ করা হয়, সিন্ধু ও চন্দ্রভাগা নদীর উপর পাকিস্তানের কৃষিকাজ নির্ভর করে। ভারতের পক্ষ থেকে জল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় দেশজুড়ে চাষাবাদে বড় সংকট দেখা দিয়েছে।
৫ মে ইসলামাবাদে জরুরি বৈঠকে বসে Indus River System Authority (IRSA)। তারা জানায়, বর্তমানে চন্দ্রভাগায় জল সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও মরশুমের বাকি সময়টা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জল পাওয়া যাবে না।
মোদীর বার্তা: জল ও রক্ত একসঙ্গে বইবে না
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেন, ‘‘সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসঙ্গে চলে না। আর জল ও রক্তও একসঙ্গে বইতে পারে না।’’ তাঁর এই বক্তব্যেই ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট—সীমান্তে রক্তপাত চললে, জলও বন্ধ থাকবে।
আরও এক ধাপ কড়া হল কেন্দ্র
সিন্ধু জলচুক্তির বাইরে, এবার ভারতে পাকিস্তানের পতাকা বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল Central Consumer Protection Authority (CCPA)। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও ই-কমার্স সাইটে পাকিস্তানের পতাকা বা সেই জাতীয় পণ্য বিক্রি করা যাবে না। এমন পণ্য অনলাইনে পাওয়া গেলে অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে। কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নির্দেশের কথা জানিয়েছেন।
সুতরাং স্পষ্ট, সন্ত্রাসবাদের মদত জারি থাকলে পাকিস্তানকে কোনও সুবিধা দেবে না ভারত—জল, বাণিজ্য বা অন্য কোনও ক্ষেত্রেই নয়।