ইন্দোর-দেওয়াস হাইওয়েতে (Indore) বিশাল যানজটে আটকে পড়ে ৩০ ঘণ্টার মধ্যে প্রাণ হারালেন অন্তত তিনজন। প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই যানজট শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এবং তা চলেছে শুক্রবার রাত পর্যন্ত। যানজটে আটকে (Indore) পড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি গাড়ি। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে শহরের রোড এবং ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে উঠেছে তীব্র প্রশ্ন।
হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যানজটের (Indore) মূল কারণ ছিল মহাসড়কের চলমান নির্মাণকাজ এবং অতিভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলজট। মূল সড়ক বন্ধ থাকায় গাড়িগুলোকে সরিয়ে দেওয়া হয় একটি সংকীর্ণ সার্ভিস লেনে, যার ফলে সৃষ্টি হয় চরম যানজট। আশপাশের গ্রামগুলোর মধ্যে বিকল্প কোনও রুট না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

যানজটের প্রথম বলি হন ৩২ বছর বয়সী সন্দীপ প্যাটেল (Indore)। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়ি আটকে পড়ে যানজটে। তার কাকুর দাবি, সন্দীপ বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কিন্তু যানজটে আটকে থাকায় তার অবস্থার অবনতি ঘটে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার আরও দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় — ৬২ বছর বয়সী কমল পাঞ্চাল এবং ৫৫ বছর বয়সী বলরাম প্যাটেল। কমলের ছেলে বিজয় পাঞ্চাল জানান, “আমরা দেড় ঘণ্টা ধরে ওই জ্যামে আটকে ছিলাম (Indore)। এ সময় আমার বাবার গা ভার লাগছিল, পরে গাড়িতেই অজ্ঞান হয়ে যান। পরে দেওয়াসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, ডাক্তাররা জানান তিনি আর নেই।”
ঘটনার পর ইন্দোর কালেক্টর আশীষ সিং এনএইচএআই, আইএমসি, ট্র্যাফিক পুলিশ এবং পিডব্লিউডির আধিকারিকদের নির্দেশ দেন যাতে দ্রুত যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে প্রশাসনের এই তৎপরতা আসার আগেই মৃত্যু ঘটে তিনজনের।
ঘটনাটি নিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র অমিত চৌরাসিয়া বলেন, “বাইপাসে গত কয়েক দিন ধরে বড়সড় যানজট চলছে। এর জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসনের ও পুলিশের গাফিলতির বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”