১৯ জুলাই, শুক্রবার—এক ভয়াবহ দিনে দুই ভিন্ন মহাদেশে ঘটল একই ধরনের বর্ণবিদ্বেষী বর্বরতা। একদিকে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায়। বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের (Indians) নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়াল এই দুই ঘটনা।
আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে এক ৪০-উর্ধ্ব ভারতীয় ব্যক্তিকে (Indians) রাস্তার মাঝখানে নির্মমভাবে আক্রমণ করে একদল তরুণ। শুধু মারধরই নয়, তাঁকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা। অনেকক্ষণ পড়ে এক পথচারীর সহায়তায় তাঁকে (Indians) উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ওই ঘটনার ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে আয়ারল্যান্ডে থাকা ভারতীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে।
এর ঘণ্টা কয়েক পরেই অস্ট্রেলিয়ায় ঘটে আরও এক বিভীষিকাময় ঘটনা। মাত্র ২৩ বছর বয়সি এক ভারতীয় (Indians) ছাত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, ঘুষি মেরে পিটিয়ে আহত করে পাঁচজনের এক দল। শুধু শারীরিক নির্যাতনই নয়, তারা চিৎকার করে বর্ণবিদ্বেষী গালাগাল দিচ্ছিল বলেও জানা গেছে। বর্তমানে ওই ছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁর মস্তিষ্কে আঘাত ও মুখমণ্ডলে মারাত্মক চোট রয়েছে (Indians) ।
এই দুটি ঘটনার পর ভারতের বিদেশমন্ত্রক প্রকাশ্যে এনেছে এক চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান—গত পাঁচ বছরে বিদেশে ভারতীয় ছাত্রদের উপর ৯১টি হিংসাত্মক আক্রমণ ঘটেছে, যার মধ্যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে! সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কানাডায় (১৬ জন), তারপর রাশিয়া ও যুক্তরাজ্য।
২০২২ সালে বিদেশে ভারতীয় ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনা ছিল ৪টি, ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৮-এ, আর ২০২৪ সালে সংখ্যাটা ছুঁয়েছে ৪০! রাজ্যসভায় ২০২৫-এর মার্চে দেওয়া সরকারি তথ্য বলছে, শুধু ছাত্ররাই নন, সব ধরনের পেশার ভারতীয়রাই এখন বিদেশে বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়ছেন।
২০২১ সালে বিদেশে ভারতীয়দের উপর হামলা ও হত্যার সংখ্যা ছিল ২৯টি, ২০২২-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭-এ, আর ২০২৩-এ তা পৌঁছে যায় ৮৬-তে।
এই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার প্রশ্ন উঠছে—বিদেশে ভারতীয়দের জন্য সুরক্ষা কোথায়? কেন বারবার নিশানা বানানো হচ্ছে ভারতীয়দের?