হরিয়ানায় গুপ্তচরবৃত্তি মামলার (Pakistani Spy) পর অসম পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের (Pakistani Spy) বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পাকিস্তানি নাগরিকদের (Pakistani Spy) ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ব্যবহারের জন্য ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) শেয়ার করত।
অসমের পুলিশ মহাপরিচালক হরমীত সিং জানিয়েছেন, গজরাজ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স থেকে তথ্য পাওয়ার পর এই তদন্ত শুরু হয়। তিনি জানিয়েছেন, “গজরাজ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স আমাদের প্রথমবার একটি তথ্য দিয়েছিল, যেখানে দেখা গিয়েছিল কিছু লোক পাকিস্তানে ওটিপি পাঠাচ্ছিল যাতে ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “প্রায় এক সপ্তাহের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের পর ১৪ তারিখে মামলা রুজু করে অপারেশন ঘোস্টসিম শুরু করা হয়। এই অভিযানের অংশ হিসেবে হায়দরাবাদ, রাজস্থানসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয় এবং ১৬ তারিখের পর থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা ভারতপুর, আলওয়ার এবং গुवাহাটি বিমানবন্দরে ধরা পড়েছে। এই সিমগুলি কেবল সাইবার অপরাধ নয়, দেশে বিরোধী কার্যকলাপেও ব্যবহৃত হচ্ছিল।”
হরিয়ানায় পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি, চারজন গ্রেফতার
অন্যদিকে, হরিয়ানার নূহ জেলায় পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে একজন আরমান নামে যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সেনা সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাঠাতেন। তার মোবাইল থেকে ডিফেন্স এক্সপো ২০২৫-এর ছবি এবং পাকিস্তানি নম্বর পাওয়া গেছে। তাকে সরকারি গোপনীয়তা আইনে ও দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা করা হয়েছে।
ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা গ্রেফতার
হরিয়ানার হিষারে থেকেও ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয়তা আইনে মামলা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মচারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন, যাকে ১৩ মে দেশে থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে মালহোত্রা প্রথমবার ওই কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেন ভিসা নেওয়ার সময়। পরে তিনি পাকিস্তানে দুইবার গিয়ে ওই কর্মকর্তার সহযোগী ও পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অভিযোগ, তিনি হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে গোপন তথ্য আদান-প্রদান করতেন।
আরও গ্রেফতার
সম্প্রতি, কাইথল এলাকার ২৫ বছর বয়সী পোস্টগ্রাজুয়েট দেবেন্দ্র সিং এবং পানিপাত থেকে ২৪ বছর বয়সী নয়মান ইলাহীকে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেবেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়ায় অস্ত্রের ছবি আপলোড করায় সন্দেহের মধ্যে এসেছিলেন।
এই সব গ্রেফতারের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত একটি বিস্তৃত গুপ্তচরবৃত্তি নেটওয়ার্ক দেশে সক্রিয় রয়েছে, যার বিরুদ্ধে এখন গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।