দুই সন্তানের মা সরবজিৎ, স্থানীয় মহল্লায় যাঁকে সবাই শান্ত স্বভাবের মহিলা হিসেবেই চিনতেন। বহু বছর ধরেই তিনি স্বামীর থেকে আলাদা থাকতেন। প্রায় তিন দশক আগে তাঁর স্বামী ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন কাজের সন্ধানে। এরপর থেকে তাঁদের সংসার মূলত দূরত্বের উপরই দাঁড়িয়ে ছিল। সম্পর্কের নরম সুতো কতদিন আগেই ছিঁড়ে গিয়েছিল, তা কেউ স্পষ্ট বলতে পারে না। তবে আচমকাই সরবজিৎ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা এখন গোটা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। পাকিস্তানে তীর্থ করতে গিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে করে নেন তিনি। পাকিস্তানে (Pakistan) তীর্থযাত্রীদের মধ্যে একজন নিখোঁজ ছিল বলে জানা যায়। সম্প্রতি তাঁর বিয়ের হলফনামা প্রকাশ্যে এসেছে। সেখান থেকেই জানা যায় পাকিস্তানে গিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করে তিনি বিয়ে করেন।
কেন তিনি এমন হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলেন ((Pakistan) )— তার সঠিক উত্তর এখনও মেলেনি। পরিবারের কেউই বুঝতে পারছেন না, দীর্ঘদিনের নীরবতার পর কেন সরবজিৎ এমন পথে হাঁটলেন। আরও কৌতূহল বাড়িয়েছে আরেকটি প্রশ্ন— যাঁর সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে বলে গুঞ্জন চলছে, সেই যুবককে কি সরবজিৎ আগে থেকেই চিনতেন? নাকি নতুন কোনো পরিচয়ের ফল এই সিদ্ধান্ত? এ ব্যাপারে কোনও পরিষ্কার তথ্য সামনে আসেনি এখনও।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সরবজিৎ দীর্ঘদিন ধরেই সম্পূর্ণ একা সংসার চালাচ্ছিলেন। দুই সন্তানের দায়িত্ব, আর্থিক চাপ, স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব— সব মিলিয়ে তাঁর মানসিক অবস্থাও নাজুক ছিল বলে দাবি প্রতিবেশীদের। তবে যা সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, তা এতটাই হঠাৎ যে অনেকে ধারণা করছেন— হয়তো এই ঘটনার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে আরও গভীর কোনো কারণ (Pakistan)।
এলাকার মানুষের একটাই প্রশ্ন— এত বছর পর হঠাৎ এমন কেন? নতুন সম্পর্ক? নাকি পুরোনো বেদনার বিস্ফোরণ? প্রত্যেকেই উত্তর খুঁজছেন, কিন্তু সরবজিৎ এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।













