ভারতের সেনাবাহিনী আজ স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে (Operation sindoor), ৭ মে-র ‘অপারেশন সিঁদুর’ ছিল শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটির বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি নির্ভুল ও পরিকল্পিত অভিযান (Operation sindoor)। লক্ষ্য ছিল (Operation sindoor) পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত জঙ্গি ঘাঁটিগুলি। ভারতীয় সেনার বক্তব্য (Operation sindoor), পাকিস্তান নিজেই এর ফল ভোগ করছে, এবং তার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী তারা নিজেরাই।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী রবিবার গভীর রাতে স্বীকার করে যে, এই সামরিক সংঘর্ষে তাদের অন্তত একটি যুদ্ধবিমান ‘সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে নিশ্চিতভাবে জানানো হয়েছে যে, একটি পাকিস্তানি Mirage যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। সেই বিমানের ধ্বংসাবশেষের ভিডিও-ও প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা।
ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গেছে, এই অভিযানে ১০০-রও বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন ‘হাই ভ্যালু’ টার্গেটও ছিল— ইউসুফ আজহার (আইসি-৮১৪ বিমান ছিনতাইয়ের মূল চক্রী), আবদুল মালিক রউফ এবং মুদাসসির আহমেদ (পুলওয়ামা হামলার পরিকল্পনাকারী)।
অভিযান চলাকালীন পাকিস্তান ভারতের সামরিক ঘাঁটি ও সীমান্তবর্তী শহরগুলিকে লক্ষ্য করে একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে। যদিও অধিকাংশ হামলাই সফলভাবে প্রতিহত করে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
এর পাল্টা জবাবে ভারত এয়ার-টু-সারফেস মিসাইল ব্যবহার করে পাকিস্তানের ১১টি সামরিক বায়ুসেনা ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। প্রতিটি হামলাই ছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও সমন্বয়যুক্ত পরিকল্পনায় পরিচালিত। এই অভিযান মূলত পাকিস্তানের বায়ুসেনার ড্রোন ও যুদ্ধবিমান হামলার ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে অক্ষম করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে চালানো হয়।
ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে— এটি কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযানে ভারত তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ভবিষ্যতে যদি জঙ্গি কার্যকলাপ হয়, তার জবাব আরও কঠোর হবে—এমন বার্তাও দিয়েছে প্রতিরক্ষা বাহিনী।