ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার (India Pakistan Tension) প্রেক্ষিতে একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে দেশের অসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)। সমস্ত বাণিজ্যিক বিমানের যাত্রীদের জন্য জানালার পর্দা (window shade) বন্ধ রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, বিশেষ করে সামরিক বিমানঘাঁটির (India Pakistan Tension) কাছাকাছি থাকা ডিফেন্স এয়ারফিল্ডে অবতরণ ও উড্ডয়নের সময়।
DGCA জানিয়েছে, বিমান যতক্ষণ না ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছচ্ছে, ততক্ষণ জানালার পর্দা খোলা যাবে না (India Pakistan Tension)। নামার সময়েও ১০,০০০ ফুট থেকে নামা পর্যন্ত জানালা বন্ধ রাখতে হবে। কেবলমাত্র জরুরি নির্গমন জানালার ক্ষেত্রে এই নিয়মে ছাড় রয়েছে।
এই নির্দেশিকা মূলত সেইসব বিমানবন্দরগুলির জন্য, যেখানে বেসামরিক ও সামরিক, দুই ধরনের বিমান চলাচল হয়। DGCA জানিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই এই ধরণের সেনা বিমানঘাঁটিতে ছবি বা ভিডিও তুলে ফেলেন, যা নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণে বিপজ্জনক হতে পারে। সেই কারণে সব বিমান সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা যাত্রীদের আগে থেকেই এই বিষয়ে সতর্ক করে দেন।
প্রত্যেকটি বিমানে টেক-অফ ও ল্যান্ডিংয়ের আগে ঘোষণা করতে হবে, যাতে যাত্রীরা জানালার পর্দা বন্ধ করেন এবং কোনো অবস্থাতেই ছবি বা ভিডিও তোলেন না। একই সঙ্গে জানাতে হবে, এই নিয়ম না মানলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এছাড়াও, DGCA সমস্ত এয়ারলাইনকে নির্দেশ দিয়েছে, যেন তারা নিজস্ব SOP (Standard Operating Procedure) তৈরি করে—যার মাধ্যমে তাদের ক্রুরা ডিফেন্স এয়ারপোর্টে দায়িত্ব পালনের সময় নিরাপত্তা ও ঝুঁকি মোকাবিলা করতে পারে।
এই নির্দেশিকা মূলত “অপারেশনাল সেফটি” বাড়ানোর লক্ষ্যে (India Pakistan Tension) জারি করা হয়েছে। DGCA বলেছে, “অনিচ্ছাকৃতভাবে” সেনা ঘাঁটি বা সামরিক কার্যকলাপের তথ্য বাইরে চলে যাওয়া রোধ করতেই এই পদক্ষেপ।
এই নির্দেশিকা যেসব বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে মানতে হবে (India Pakistan Tension), সেগুলির মধ্যে রয়েছে: লে, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভটিন্ডা, জয়সালমের, নাল, যোধপুর, হিন্দন, আগ্রা, কানপুর, বেরেলি, মহারাজপুর, গোরখপুর, ভূজ, লোহেগাঁও (পুণে), গোয়ার ডাবোলিম এবং বিশাখাপত্তনম।
পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। এরপর পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা চরমে ওঠে এবং সেই কারণে উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও এখন বিমান চলাচল আবার শুরু হয়েছে, তবে নিরাপত্তা ঝুঁকি এখনো থেকেই যাচ্ছে।
