ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে (India Pakistan Border) ফের অনুপ্রবেশ রুখে দিল বিএসএফ। গুজরাটের বনাসকাঁঠা জেলায় সীমান্ত (India Pakistan Border) পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন এক পাকিস্তানি নাগরিক। ২৩ মে রাতে ভারতীয় সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টার সময় বিএসএফ-এর গুলিতে প্রাণ হারান ওই অনুপ্রবেশকারী।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি সীমান্ত (India Pakistan Border) পার হওয়ার চেষ্টা করলে বিএসএফ তাকে বারবার সতর্ক করে ফিরে যেতে বলে। কিন্তু তিনি কোনও কথা না শুনে এগোতেই থাকেন। এরপর বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে হয় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান (India Pakistan Border) তিনি।
এই ঘটনার সময় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল অতিমাত্রায় কড়া। কারণ ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগামে জঙ্গি হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে।
এর আগে এই মাসের শুরুতেই পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে এক পাকিস্তানি নাগরিক অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে তাকেও গুলি করে মারে বিএসএফ। রাতের অন্ধকারে সীমান্তের বেড়া পার হয়ে ওই ব্যক্তি ভারতের দিকে এগিয়ে আসছিলেন। বিএসএফ সতর্কবার্তা দিলেও সাড়া না দিয়ে তিনি এগোতেই থাকেন, এরপর গুলি চালানো হয়।
সম্প্রতি বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিককে সীমান্ত পেরোনোর সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি রেঞ্জারও ছিল, যিনি গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে ভারতে ঢুকতে চেয়েছিলেন বলে সন্দেহ।
২২ এপ্রিলের পাহেলগাম হামলার পরে ভারত ‘অপারেশন সিন্দূর’ নামে পাল্টা সামরিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি নিশানা করা হয়। এর প্রতিশোধে পাকিস্তানের তরফে ড্রোন হামলা চালানো হয় ভারতের বিভিন্ন শহরের দিকে। এরপর ভারতও পাল্টা আক্রমণ করে, পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বিমান ঘাঁটিতে নিখুঁত হামলা চালানো হয়।
এই উত্তেজনার আবহেই ১০ মে পাকিস্তানের অনুরোধে দুই দেশের মধ্যে সামরিক স্তরে আলোচনা হয়। আলোচনায় দু’দেশ সীমান্তে গুলি বিনিময় বন্ধ রাখার বিষয়ে একমত হয়।