দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের (Illegal migrants) চিহ্নিত করতে এবং ফেরত পাঠাতে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। প্রতিটি রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করার জন্য। সেখানে রাখা হবে সেইসব মানুষদের, যাঁরা বৈধ নথি ছাড়া ভারতে বসবাস করছেন। মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি হওয়া নির্দেশিকায় এ কথা জানানো হয়েছে (Illegal migrants) ।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যাঁদের কাছে বৈধ পাসপোর্ট বা নথি থাকবে না, তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে এবং পরবর্তী সময়ে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। তবে সব ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু নাগরিকরা— যেমন হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান ও পার্সিরা— এই নিয়ম থেকে ছাড় পাবেন।
কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা ভারতে এসেছেন, তাঁরাই নাগরিকত্ব আইনের আওতায় আবেদন করতে পারবেন। তবে নতুন নির্দেশে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তিন দেশ থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নাগরিকরা ভারতে এলে তাঁদের পাসপোর্ট বা অন্য ভ্রমণ নথি ছাড়াও থাকতে দেওয়া হবে। যদিও এই অনুমতি নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা নয়। নাগরিকত্ব চাইলে তাঁদের সিএএ-র ধারা ৬বি অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।
সোমবার থেকেই কার্যকর হয়েছে সদ্য সংসদে পাস হওয়া ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট, ২০২৫। এর ভিত্তিতেই এই নতুন নির্দেশ জারি হয়েছে। ফলে ২০১৪ সালের পর পাকিস্তান থেকে আসা বহু হিন্দু পরিবার, যাঁরা এতদিন নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, তাঁরা অনেকটাই স্বস্তি পেলেন।
একই সঙ্গে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নেপাল ও ভুটানের নাগরিকরা স্থল বা আকাশপথে ভারতে এলেও তাঁদের পাসপোর্ট বা ভিসা দেখাতে হবে না। একইভাবে ভারতীয় নাগরিকদেরও নেপাল বা ভুটানে যেতে কোনও নথি লাগবে না। তবে চিন, পাকিস্তান, হংকং বা ম্যাকাওয়ের নাগরিকরা ভারতে এলে বৈধ নথি দেখাতেই হবে।
এছাড়া নতুন আইনে স্পষ্ট করা হয়েছে, ভারতীয় সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনার সদস্যরা কিংবা সরকারি গাড়িতে ভ্রমণকারী আধিকারিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা নথি ছাড়াই যাতায়াত করতে পারবেন।