রিয়েল এস্টেট সংস্থা সুপারটেক লিমিটেডের প্রোমোটার ও ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে বড়সড় আর্থিক জালিয়াতির (Fraud Case) অভিযোগে ফৌজদারি মামলা রুজু করল সিবিআই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আইডিবিআই ব্যাংক থেকে ভুয়ো ও জাল নথি ব্যবহার করে প্রায় ১২৬.০৭ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছিল, যেটি পরে অন্য খাতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় এবং ফেরত না দেওয়ায় তা ‘ফ্রড অ্যাকাউন্ট'(Fraud Case) হিসেবে চিহ্নিত হয়।
এই মামলাটি শুরু হয়েছে আইডিবিআই ব্যাংকের একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযোগে বলা হয়েছে, সুপারটেক লিমিটেড এবং তাদের শীর্ষ কর্তারা ব্যাংকের সঙ্গে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (Fraud Case) এবং তহবিল তছরুপের মতো গুরুতর অপরাধে যুক্ত।
সিবিআই-এর এফআইআরে উল্লেখ আছে, সুপারটেক কর্তৃপক্ষ ভুয়ো দলিল তৈরি করে তা ব্যাংকের কাছে জমা দেয় এবং সেই ভিত্তিতেই ব্যাংক তাদের ঋণ মঞ্জুর করে। পরে দেখা যায়, ঋণের অর্থ প্রকল্পে না লাগিয়ে অন্য খাতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে (Fraud Case) এবং সেই টাকা ফেরতও দেওয়া হয়নি। ফলে ব্যাংক মার খায় প্রায় ১২৬ কোটি টাকার মতো।
এই মামলায় যাদের বিরুদ্ধে সিবিআই অভিযোগ এনেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সংস্থার প্রোমোটার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাম কিশোর অরোরা। এছাড়াও সংস্থার হোল-টাইম ডিরেক্টর সংগীতা অরোরা, পারুল অরোরা এবং মোহিত অরোরার নামও রয়েছে, যারা সকলেই প্রোমোটার গ্রুপের সদস্য।
নাম রয়েছে আরও কয়েকজন ডিরেক্টরের— বিকাশ কংসাল, প্রদীপ কুমার, অনিল কুমার শর্মা এবং অনিল কুমার জৈন। এদের মধ্যে অনেকে সুপারটেক-এর নয়ডা ও গাজিয়াবাদ অফিসে যুক্ত ছিলেন।
শুক্রবার, তদন্তের অংশ হিসেবে সিবিআই নয়ডা ও গাজিয়াবাদের মোট পাঁচটি জায়গায় হানা দেয়। এই তল্লাশিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়, সঙ্গে একটি ডিরেক্টরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২৮.৫০ লক্ষ টাকা।
সিবিআই এই ঘটনাকে একটি ‘সাজানো আর্থিক চক্রান্ত’ বলে উল্লেখ করেছে এবং বলেছে, তদন্তের প্রয়োজনে আরও অভিযান ও জিজ্ঞাসাবাদ চলবে। ঘটনায় যেসব অজানা আইডিবিআই ব্যাংক আধিকারিক জড়িত থাকতে পারেন, তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।