হায়দরাবাদে এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনায় সন্দেহজনক ফুড পয়জনিংয়ে একজন ব্যক্তির মৃত্যু (Dead) হয়েছে এবং আরও তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার বনালু উৎসব উপলক্ষে এক পরিবারের মধ্যে রান্না করা মাংস খাওয়ার পর এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের বনস্থলিপুরম এলাকায়, যেখানে ৪৬ বছর বয়সী আরটিসি কন্ডাক্টর শ্রীনিবাস যাদব পরিবারের জন্য বিশেষভাবে রান্না করেছিলেন মুরগি, খাসির মাংস এবং বোটি (ছাগলের নাড়িভুঁড়ি) (Dead)।
উৎসবের দিনে পুরো পরিবার এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন এই খাবার উপভোগ করে (Dead)। পরিবারে ছিলেন শ্রীনিবাসের ৩৮ বছর বয়সী স্ত্রী রাজিতা, ১৭ ও ১৫ বছর বয়সী কন্যা লাহারি এবং জাস্মিথা, ৬৫ বছর বয়সী মা গৌরাম্মা, রাজিতার ভাই সন্তোষ কুমার (৩৯), তার স্ত্রী রাধিকা (৩৪), এবং তাঁদের দুই মেয়ে পূরবিকা (১২) ও কৃতগ্না (৭) (Dead)।
পরদিন সোমবার, এই পরিবার ফ্রিজে রাখা মাংস পুনরায় গরম করে খায় । কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বমি ও ডায়ারিয়ার মতো ফুড পয়জনিংয়ের উপসর্গ দেখা দিতে থাকে (Dead)। সকলকে দ্রুত একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মারা (Dead) যান শ্রীনিবাস যাদব। তিনজনের অবস্থা এখনো সংকটজনক এবং বাকি সদস্যদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বনস্থলিপুরম থানার পুলিশ জানিয়েছে, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, খাবারে বিষক্রিয়াই মৃত্যুর কারণ। পরিবারটি ছাগলের নাড়িভুঁড়ি এবং মুরগির মাংস ফ্রিজে রেখে পুনরায় গরম করে খেয়েছিল। পিএমই রিপোর্ট (ময়না তদন্ত) আসার পর আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে। এখনও পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় দাহকার্য সম্পন্ন করা হয়নি।”
স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন, গরম আবহাওয়ায় ফ্রিজে সংরক্ষিত মাংস বা পচনশীল খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
