গুয়াহাটিতে চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে স্ত্রীর সঙ্গে ১০ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে এক ব্যক্তি, পঙ্কজ নারজারি, ধীরে ধীরে বিষ খাইয়ে স্ত্রী রূপালী মুসাহারিকে খুন (Murder) করেন। জানা গেছে, পঙ্কজ নিজের পরকীয়ার সম্পর্ক থেকে মুক্তভাবে জীবন কাটানোর জন্য এই নারকীয় (Murder) সিদ্ধান্ত নেন।
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী, রূপালীর শরীরে দিনের পর দিন বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৭ জুন, ৯ জুন, ১১ জুন এবং সবশেষে ১৪ জুন — এই চারটি দিনে পঙ্কজ একটি মাল্টিভিটামিন বোতলে বিষ মিশিয়ে স্ত্রীর (Murder) শরীরে সেই বিষ ঢুকিয়ে দেন। শেষবারের মাত্রাতিরিক্ত ডোজেই রূপালীর মৃত্যু হয় (Murder) ।

এই হত্যার (Murder) পিছনে কারণ ছিল পঙ্কজের দীর্ঘদিনের এক্সট্রা-ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার। প্রতিবেশী এক মুদির দোকানদার নারীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক (Murder) ছিল। সেই সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং স্ত্রীর বাধা না পেতে, পঙ্কজ পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেন।
পঙ্কজ প্রতিবার বিষ খাওয়ানোর (Murder) পর রূপালীর শরীর খারাপের অজুহাতে তাঁকে একা রেখে নিজ গ্রাম বাগানপাড়া, বাকসাতে চলে যেতেন। ১৪ জুন, চতুর্থ ও চূড়ান্ত ডোজ দেওয়ার পর রূপালী তাঁর ভাড়া বাড়িতে মারা যান।
রূপালীর পরিবারের সদস্যরা বারবার ফোন করে খবর নিতে চাইলে পঙ্কজ বলেন, রূপালী অসুস্থ, বিশ্রামে আছেন। পরে আবার জানান, রূপালী মারা গিয়েছেন এবং তাঁকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (GMCH) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু যখন পরিবার GMCH-তে পৌঁছায়, সেখানে পাওয়া যায় না রূপালীকে, না পঙ্কজকে।
এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং পঙ্কজের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে।