আগামী ৭ মে, বুধবার, দেশের একাধিক রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে আয়োজিত হতে চলেছে সর্বভারতীয় মক ড্রিল (Mock Drill)। নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে এই মহড়া (Mock Drill)অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, বিশেষত সাম্প্রতিক অশান্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে (Mock Drill)।
পিছনে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
এই ধরনের সর্বভারতীয় মহড়ার নির্দেশ শেষবার জারি হয়েছিল ১৯৭১ সালে—যখন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এতদিন পরে ফের একবার এমন নির্দেশ কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে: দেশ এখন বাড়তি সতর্কতার মোড়কে।
কেন এই মহড়া?
সরকারি সূত্র বলছে, যে কোনও জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসবাদী পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যাতে নিজেদের রক্ষা করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এই জাতীয় প্রস্তুতি।
প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তা ও প্রস্তুতি
সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। পাক জঙ্গি সংগঠন সেই হামলার দায় স্বীকার করার পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিরক্ষা সচিব সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর নির্দেশ—জঙ্গিরা যতই গা ঢাকা দিক, খুঁজে বার করে প্রত্যাঘাত করা হবে।
বায়ুসেনার যুদ্ধকালীন মহড়া
রবিবার রাতে ভারতের বায়ুসেনা ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্টে (ভারত-পাক সীমান্তঘেঁষা) রাত ৯টা থেকে শুরু করে উচ্চতর সামরিক মহড়া চালায়। গোটা ঘাঁটি অন্ধকার করে রাতের আক্রমণ প্রতিহত করার মহড়া ছিল এই অপারেশনের মূল লক্ষ্য।
সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত
গত ১১ দিন ধরে পাকিস্তানের তরফে লাগাতার গুলিবর্ষণ চলছে। প্রতিদিনই তারা সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।
উপসংহার
৭ মে-র এই মহড়া শুধুই প্রতীকী নয়—এটি ভারতের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার একটি কৌশলগত বার্তা, দেশ এখন আর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।