ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক যখন উত্তেজনাপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে, ঠিক তখনই হরিয়ানার হিসারে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে ইউটিউবার (YoutTuber Arrested) জ্যোতি মালহোত্রাকে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, এই ইউটিউবার (YouTuber Arrested) গত বছর দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন এবং সেই নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন, যা এখন ভাইরাল (YouTuber Arrested)।
জ্যোতি মালহোত্রার বয়স ৩৩ বছর। তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় ৩.৭ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার এবং ইনস্টাগ্রামে ১.৩২ লক্ষ ফলোয়ার আছে। তাকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তিনি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-কে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করেছেন।
২০২৪ সালের ৩০ মার্চ পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, জ্যোতি দিল্লির পাকিস্তান হাইকমিশনের ইফতার পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। সেখানে তিনি পাক কূটনীতিক আহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে দেখা করেন, যিনি সম্প্রতি ভারত ছাড়ার নির্দেশ পান গুপ্তচরবৃত্তির জন্য।
ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি পাক কূটনীতিকের আতিথেয়তা নিয়ে বেশ খুশি, বারবার বলেন, “আমি অভিভূত। আমার ভাষা হারিয়ে গেছে। ভাইসাহেব, আমি তো হিল গই (অর্থাৎ বিস্মিত)।” তিনি সেই অফিসার এবং তার স্ত্রীকে নিজের গ্রামে আমন্ত্রণও জানান। তিনি ভিডিওতে প্রায় সবার সঙ্গে পাকিস্তান যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “আশা করি ভিসা পাবো, একসঙ্গে যাবো।”
FIR অনুযায়ী, জ্যোতির সঙ্গে পাক কূটনীতিক আহসান-উর-রহিমের প্রথম দেখা হয় ২০২৩ সালে দিল্লির পাকিস্তান হাইকমিশনে। তারপর থেকেই তারা নিয়মিত যোগাযোগে ছিলেন। অভিযোগ, সেই কূটনীতিকই তাকে পাকিস্তানি গুপ্তচরদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
তিনি এখন পর্যন্ত তিনবার পাকিস্তান ভ্রমণ করেছেন এবং সেই ভ্রমণের ভিডিও ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন।
জ্যোতির বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩-এর ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ধারা এবং BNS-এর ১৫২ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে তাকে ৫ দিনের জন্য রাখা হয়েছে। মামলা তদন্ত করছে ইকোনমিক অফেন্সেস উইং।
FIR অনুযায়ী, তিনি WhatsApp, Telegram ও Snapchat-এর মাধ্যমে পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখতেন। তার বিরুদ্ধে এমন তথ্য শেয়ার করার অভিযোগও আছে, যা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই ইউটিউবার একটি বড় গুপ্তচর নেটওয়ার্কের অংশ, যার শাখা-প্রশাখা হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে বিস্তৃত।