রাত নেমেছে অমৃতসরে (Golden Temple)। চারপাশে নিস্তব্ধতা। ঠিক তখনই এক অশনি সংকেত ঘিরে ফেলল পবিত্র স্বর্ণমন্দির চত্বরকে। সোমবার রাতেই আচমকা হুমকির ইমেল পৌঁছল স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষের মেইলে। তাতে লেখা, বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হবে মন্দিরের লঙ্গরখানা—যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিনামূল্যে আহার করেন (Golden Temple)।
ইমেল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। স্থানীয় মানুষজন উদ্বিগ্ন চোখে তাকিয়ে থাকেন পবিত্র ধর্মস্থানের দিকে (Golden Temple)। খবর যায় শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির কাছে। তড়িঘড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কমিটির সদস্যরা v। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াড, ঘিরে ফেলা হয় গোটা মন্দির এলাকা। আতঙ্ক ও নিরাপত্তার মাঝেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান (Golden Temple)।
স্বর্ণমন্দির কমিটির প্রধান হরজিন্দর সিং ধামী জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে এই মুহূর্তে অতিরিক্ত কিছু জানানো সম্ভব নয়। অমৃতসর পুলিশ কমিশনার গুরুপ্রীত সিং ভুল্লার নিশ্চিত করেছেন, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্তের কাজ চলছে পুরোদমে। পাশাপাশি, ইমেল প্রেরকের পরিচয় জানতে সাইবার ক্রাইম দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হুমকির পেছনে কোনও বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এই ঘটনায় সরব হয়েছে কংগ্রেসও। অমৃতসরের কংগ্রেস সাংসদ গুরজিৎ সিং আউলিয়া এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ পোস্ট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের কাছে বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানান। তাঁর কথায়, “স্বর্ণমন্দিরে RDX-এ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি শুধু একটি ধর্মীয় স্থানকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা নয়, বরং তা শান্তি ও মানবিকতার উপর সরাসরি আঘাত।”
সোমবার রাতের এই ঘটনাই নতুন করে প্রশ্ন তোলে—পবিত্র স্থানও কি আর নিরাপদ নেই? ধর্ম, শ্রদ্ধা, আর্তজনের অন্নসংস্থান, সব মিলিয়ে এক ভয়ানক চক্রান্তের আঁচ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এখন দেখার, এই হুমকির নেপথ্যে আদতে কে বা কারা রয়েছে, এবং কী সেই উদ্দেশ্য, যা শান্তিপূর্ণ এক ধর্মস্থানকে রক্তাক্ত করতে চায়।