কাশ্মীরি কুখ্যাত গ্যাংস্টার কালা জাঠেদি (Kala Jathedi)(আসল নাম সন্দীপ ঝাঞ্জারিয়া), যিনি এখন তিহার জেলে বন্দি, তিনি সম্প্রতি IVF (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) পদ্ধতির মাধ্যমে বাবা হওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা দিল্লির আদালতের অনুমতির পর জেলের মধ্যেই সম্পন্ন হয়।
কালা জাঠেদি (Kala Jathedi) আদালতে একটি আবেদন জানান, যেখানে তিনি ৬ ঘণ্টার কাস্টডি প্যারোল চেয়ে বলেন, তিনি সন্তান উৎপাদনের জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করতে চান। এই IVF পদ্ধতিতে একজন নারীর ডিম্বাণু ও পুরুষের শুক্রাণু ল্যাবরেটরিতে সংযুক্ত করা হয়।
জাঠেদির (Kala Jathedi) আইনজীবী রোহিত কুমার দালাল আদালতে জানান, “এই গ্যাংস্টার তার বংশ রক্ষা এবং পারিবারিক গাছ বাঁচিয়ে রাখতে চায়, তাই সে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে চায়।” এরপর ৯ জুন, ২০২৫ তারিখে আদালতের বিচারক দীপক ওয়াসন আদেশ দেন, “১৪ জুন ২০২৫ তারিখে সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক দল তিহার জেলে গিয়ে কালা জাঠেদির (Kala Jathedi) শুক্রাণু সংগ্রহ করবে।” আদালত আরও বলেন, IVF প্রক্রিয়ার সব খরচ জাঠেদিকেই বহন করতে হবে।
এর আগেও, ২০২৪ সালের মার্চে, আদালত তাকে (Kala Jathedi) প্যারোলে ছেড়ে দিয়েছিল অনুরাধা চৌধুরীকে বিয়ে করার জন্য, যিনি ‘ম্যাডাম ডন’ নামে পরিচিত এবং তখন গুরগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে IVF করাচ্ছিলেন। কালা জাঠেদির (Kala Jathedi) জীবন আগে মোটেও এরকম ছিল না। একটি কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া সন্দীপ একসময় কুস্তিগির হতে চাইত, সেনাবাহিনীতে যোগদানের স্বপ্ন দেখত। কিন্তু পরে ছোটখাটো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমবার সে জেলে যায় ২০০৪ সালে।

তার অপরাধের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে—খুন, চাঁদাবাজি সবই যুক্ত হয়। ২০১২ সালে, সে একটি পুলিশ ভ্যানের ওপর হামলা চালিয়ে ৩ জনকে হত্যা করে ও রাইফেল চুরি করে, যার ফলে আবার জেলে যায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে, জাঠেদির পরিচয় হয় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও সম্পত নেহরার সাথে, যখন সে ভোঁদসী জেলে ছিল। এরপর তাদের সহায়তায় সে ফরিদাবাদ থেকে পুলিশের হেফাজত থেকে এক বন্দুকযুদ্ধের পর পালিয়ে যায়।
নভেম্বর ২০২০-তে, ইন্দোরে অনুরাধার সাথে তার পরিচয় হয়, যখন দুজনই পলাতক। পরে ২০২১ সালে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে দুজনকেই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল গ্রেপ্তার করে। অনুরাধা চৌধুরী, একজন BTech ও MBA ডিগ্রিধারী, অতীতে বহু অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলায় যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের মতে, বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রার তাকে নির্দেশ দিয়েছিল যেন সে কালা জাঠেদিকে ডিজিটাল দুনিয়ায় কীভাবে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে হয় তা শেখায়।