বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে স্বাক্ষরিত হল ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (Free Trade Agreement)। অভিবাসন নীতি, অ্যালকোহল ও মোটরগাড়িকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা আলোচনার জট (Free Trade Agreement) কেটে গেল কিয়ের স্টার্মার নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ সরকারের হাত ধরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একে অভিহিত করলেন “ঐতিহাসিক মাইলফলক” হিসেবে (Free Trade Agreement)।
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশ এই বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা করেছে। এর ফলে দু’দেশের মধ্যে পণ্য ও পরিষেবার উপর থেকে অনেকাংশে শুল্ক তুলে নেওয়া হবে। এই চুক্তিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি লন্ডন সফর করেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ২৮ এপ্রিল তাঁর সফরের পর আলোচনা প্রায় সম্পূর্ণ হলেও, শেষ মুহূর্তে সময় বাড়ানো হয়—যা শেষ পর্যন্ত সুফল আনল।
বিশ্ব বাজারে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর শুল্ক নীতির প্রভাব স্পষ্ট, সেই প্রেক্ষাপটে ভারত-ব্রিটেনের এই চুক্তি নতুন দিশা দেখাবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি শুধু আর্থিক দিকেই নয়, কৌশলগত অংশীদারিত্বেও গভীর প্রভাব ফেলবে।
এই উপলক্ষে এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন,
“আমার বন্ধু ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত। এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ আমাদের অর্থনীতি, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের পরিসর বাড়াবে। কৌশলগত অংশীদারিত্ব হবে আরও গভীর। আমি স্টার্মারকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং তাঁকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় আছি।”
এই বাণিজ্য চুক্তিকে কেন্দ্র করে শিগগিরই ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল বিনিময়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।