দীর্ঘদিন ধরে স্বপ্ন দেখছিলেন দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার (Fire Breaks Out)। প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন জোরকদমে। কিন্তু এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অকালে থেমে গেল সেই স্বপ্ন। দিল্লির করোল বাগের এক শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে লিফটে আটকে পড়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল UPSC পরীক্ষার্থী ধীরেন্দ্র প্রসাদের v(Fire Breaks Out)। মৃত্যুর আগে একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন বাঁচার, শেষ মুহূর্তে ভাইকে পাঠিয়েছিলেন আবেগঘন মেসেজ—“ভাই আমি লিফটে আটকে গিয়েছি। একদম শ্বাস নিতে পারছি না। দয়া করে আমায় বাঁচাতে আয়…”
শুক্রবার সন্ধেবেলা করোল বাগের একটি শপিং মলে আগুন লাগে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শর্ট সার্কিট থেকেই শুরু হয় অগ্নিকাণ্ড (Fire breaks Out)। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াল আগুন। ওই সময়ই লিফটে উঠছিলেন ধীরেন্দ্র। কিন্তু আগুনের প্রকোপে মাঝপথেই লিফট আটকে যায়। বন্ধ হয়ে যায় দরজা। শুরু হয় ধোঁয়ার দমবন্ধ করা পরিবেশ। বাইরে কেউ জানতেও পারেননি লিফটে আটকে রয়েছেন এক তরুণ।
ভেতর থেকে বারবার চিৎকার করেছিলেন ধীরেন্দ্র। প্রাণপণে ফোন করেছিলেন একাধিকজনকে। কিন্তু সাহায্য আসেনি। শেষমেশ ভাইকে পাঠান জীবনের শেষ বার্তা—একটি আর্তি, একটি হাহাকার, যা আজও কাঁপিয়ে দিচ্ছে নেট দুনিয়াকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আট ঘণ্টা পর শনিবার সকালে দমকল কর্মীরা লিফট ভেঙে উদ্ধার করেন তাঁর নিথর দেহ। তাঁর ফোন থেকেই উদ্ধার হয় সেই হৃদয়বিদারক শেষ মেসেজটি।
এই মর্মান্তিক ঘটনার জেরে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। অগ্নিকাণ্ডে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ—তিনি আগুনে পুড়ে মারা যান। তবে ধীরেন্দ্রর মতো এমন একটি অসহায়, ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে থেকে কেউ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবেন, তা কেউ কল্পনাও করেনি।
প্রশ্ন উঠছে, কেন এত দেরি হল উদ্ধারে? কেন আগুন লাগার সময়েই সরানো হয়নি লিফটের যাত্রীদের? কেন কোনো এলার্ট ছিল না? এক UPSC পরীক্ষার্থীর প্রাণহানিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ, সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে শোক ও প্রতিবাদের ঝড়।