বিশ্বজুড়ে এক রকম রূপকথার জীবন যাপন করছিলেন হর্ষবর্ধন জৈন। বিলাসবহুল গাড়ি, কূটনৈতিক নম্বর প্লেট, বিদেশি পতাকায় ঘেরা গাজিয়াবাদের এক প্রাসাদোপম বাংলো—সবই ছিল একটি বড়সড় প্রতারণা চক্রের মোড়া (Fake embassy)। এবার তার মুখোশ খুলে পড়েছে। উত্তরপ্রদেশ এসটিএফের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য—৩০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত হর্ষবর্ধন জৈন আসলে একজন ছদ্মবেশী কূটনীতিক, যিনি ১০ বছরের মধ্যে ১৬২ বার বিদেশ সফরে গিয়েছেন, চালিয়েছেন ভুয়ো দূতাবাস (Fake embassy)।
হর্ষবর্ধনের বয়স ৪৭। তিনি নিজেকে কখনও ‘ওয়েস্টার্কটিকা’র ব্যারন, কখনও ‘সেবোর্গা’র রাষ্ট্রদূত বলে পরিচয় দিতেন (Fake embassy)। এই সব স্বঘোষিত মাইক্রোনেশন বা “ক্ষুদ্র রাষ্ট্র”-এর নাম করে বিদেশি প্রভাব, চাকরি, ব্যবসার সুযোগ পাওয়ার প্রলোভনে অনেককেই ঠকিয়েছেন তিনি (Fake embassy)।
তাঁর বাড়ির প্রতিটি প্রান্তে বিদেশি দেশের পতাকা ও চিহ্ন ন। চালাতেন বিলাসবহুল গাড়ি যাতে লেখা ‘Diplomat’। পরিচয় দিতেন ‘Baron of Westarctica’ হিসেবে। কিন্তু এসটিএফের জালে ধরা পড়তেই ভেঙে পড়ে সেই রাজ্য।
তদন্তে উঠে এসেছে, হর্ষবর্ধন ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১৯টি দেশে সফর করেন। শুধু ইউএই-তেই গিয়েছেন ৫৪ বার, আর ব্রিটেনে ২২ বার। এছাড়া তিনি গিয়েছেন মরিশাস, ফ্রান্স, ক্যামেরুন এবং ইউরোপের মাইক্রোনেশন ‘সেবোর্গা’য়, সবই তথাকথিত কূটনৈতিক কারণে।
এসটিএফ হর্ষবর্ধনের সঙ্গে যুক্ত ২৫টি ভুয়ো কোম্পানির হদিস পেয়েছে, যেগুলি রয়েছে ইউকে, ইউএই, মরিশাস ও ক্যামেরুনে। নামগুলোও চমকে দেওয়ার মতো—State Trading Corporation Ltd, East India Company UK Ltd, Island General Trading Co LLC (UAE), Indira Overseas Ltd (Mauritius)।