Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • দেশ
  • Deoghar Murder Case: ত্যুশয্যায় পুত্রবধূর শেষ জবানবন্দি! পুড়িয়ে হত্যায় অভিযোগে শাশুড়ি অনিতা দেবীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দেশ

Deoghar Murder Case: ত্যুশয্যায় পুত্রবধূর শেষ জবানবন্দি! পুড়িয়ে হত্যায় অভিযোগে শাশুড়ি অনিতা দেবীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

court
Email :1

ঝাড়খণ্ডের দেওঘর (Deoghar Murder Case) জেলায় হৃদয়বিদারক এক ঘটনায় পুত্রবধূকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন শাশুড়ি। শনিবার দেওঘরের আদালত ৬০ বছরের অনিতা দেবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে (Deoghar Murder Case)। একই সঙ্গে আদালত দোষীর উপর ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছে। ওই টাকা না দিলে অনিতা দেবীকে আরও দুই বছরের অতিরিক্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের ২৩ এপ্রিল। দেওঘরের সারওয়ান থানা এলাকায় এই নৃশংস ঘটনার পরই গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে (Deoghar Murder Case)। নিহত কবিতা দেবী, মৃত্যুর আগে হাসপাতালে শুয়ে নিজের বয়ান দিয়েছিলেন। সেই জবানবন্দির ভিত্তিতেই পুলিশের কাছে মামলা দায়ের হয় এবং পরে তদন্তে তাঁর অভিযোগই সত্য প্রমাণিত হয় (Deoghar Murder Case)।

সরকারি আইনজীবী অশোক কুমার রাই জানিয়েছেন, কবিতা দেবী (Deoghar Murder Case) মৃত্যুর আগে পুলিশের কাছে জানান, সেদিন সকালে তাঁর সঙ্গে শাশুড়ি অনিতা দেবীর তীব্র ঝগড়া হয়। এরপর তিনি বাড়ির আঙিনায় গিয়ে বসেন, যেখানে শুকনো খড় রাখা ছিল। কিছুক্ষণ পরেই তাঁর শাশুড়ি সেখানে এসে হঠাৎ আগুন ধরিয়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনে তাঁর শাড়ি জ্বলে ওঠে।

কবিতা চিৎকার করে সাহায্য চাইতে থাকেন, কিন্তু কেউই এগিয়ে আসেননি। পরে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও (Deoghar Murder Case), তাঁর শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসার সময় তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ কথায় শাশুড়ির নামই ছিল একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে।

এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর ২০২৫ সালের ১০ মার্চ আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। আদালত দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে এবং সব সাক্ষ্যপ্রমাণ যাচাইয়ের পর শনিবার রায় ঘোষণা করে। বিচারক রাজেন্দ্র কুমার সিন্‌হা বলেন, ‘‘অভিযুক্তের অপরাধ প্রমাণিত। এমন নিষ্ঠুর ও অমানবিক হত্যাকাণ্ড সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার মতো।’’

ঘটনার পর থেকেই অনিতা দেবী জেল হেফাজতে ছিলেন। আদালতের রায়ের পর তাঁকে দেওঘর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, মা ও বউয়ের মধ্যে এমন পারিবারিক দ্বন্দ্বে মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ মণ্ডল বলেন, “আমরা এমন নিষ্ঠুরতা আগে দেখিনি। মা-ছেলের পরিবারের মধ্যে যে এমন আগুন জ্বলতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারিনি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts