অমরনাথ যাত্রার আগে বড়সড় জঙ্গি দমন অভিযান চালাল ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। বৃহস্পতিবার জম্মুর উদমপুর জেলার বসন্তগড় এলাকায় ‘অপারেশন বিহালি’ চালিয়ে পাকিস্তান ঘাঁটিভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) এক জঙ্গিকে নিকেশ (Encounter) করা হয়েছে। সেনার প্যারা কমান্ডো ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে এই সাফল্য এল দীর্ঘ নজরদারির পর।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, নিহত (Encounter) জঙ্গি চার সদস্যের একটি জইশ মডিউলের অংশ ছিল, যাদের প্রায় এক বছর ধরে নজরে রাখা হচ্ছিল। একটি নির্দিষ্ট গোপন সূত্রের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতেই শুরু হয় এই অভিযান (Encounter)। কারুর নাল্লা সংলগ্ন গভীর জঙ্গলে চলা তল্লাশির সময় সেনারা জঙ্গিদের গোপন অবস্থান শনাক্ত করে।
সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ জঙ্গিদের সঙ্গে প্রথমবার সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানিয়েছেন জম্মু জোনের আইজিপি ভীম সেন তুতি। তিনি বলেন, “জঙ্গিরা দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের নজরে ছিল (Encounter)। জঙ্গলের পাথুরে ও দুর্গম ভূখণ্ডে এই অভিযান চালানো খুবই কঠিন, তবুও সেনার বাহিনী প্রস্তুত ছিল। আবহাওয়াও খারাপ ছিল, কিন্তু অভিযানে ছেদ পড়েনি।”
ডিফেন্স মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও তিন জঙ্গি ওই এলাকার ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে। অভিযান চলছে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত। সেনার হোয়াইট নাইট কোর এক্স-এ (প্রাক্তন টুইটার) জানিয়েছে, “জঙ্গিদের সঙ্গে সফলভাবে এনকাউন্টার শুরু হয়েছে, যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।”

অমরনাথ যাত্রা শুরু হবে আগামী ৩ জুলাই। তার আগেই এই সাফল্যকে (Encounter) বড়সড় সুরক্ষা জয় বলে মনে করছে গোয়েন্দা মহল। সম্প্রতি, গান্ডেরবালের বালতাল বেস ক্যাম্পে একাধিক সংস্থার সমন্বয়ে মহড়া চালানো হয়েছিল। সেখানে সেনা, পুলিশ, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, সিআরপিএফ ও দুর্যোগ মোকাবিলা দল অংশ নেয়। যাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও সুরক্ষিত রাখতে প্রশাসনের জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
এদিকে, পৃথক এক ঘটনায়, বুধবার রাতেই জম্মুর সাম্বা জেলার পুরমণ্ডল এলাকায় সন্দেহজনক গতিবিধির খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ ও সেনা। যদিও সেখানে কোনও সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।