Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • দিল্লি বিস্ফোরণের আগে তিন ঘণ্টা পার্কিং লটে দাঁড়ানো গাড়ি— কে খুলেছিল সেই লট? রহস্যে ঘেরা ছক
দেশ

দিল্লি বিস্ফোরণের আগে তিন ঘণ্টা পার্কিং লটে দাঁড়ানো গাড়ি— কে খুলেছিল সেই লট? রহস্যে ঘেরা ছক

delhi blast cctv footage
Email :1

দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় লালকেল্লা সংলগ্ন পার্কিং লট ঘিরে উঠছে নতুন রহস্য (Delhi Blast)। সোমবার যে জায়গায় ঘাতক গাড়িটি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল, সেই পার্কিং লট আসলে সেদিন বন্ধ থাকার কথা ছিল। তাহলে কেন খোলা ছিল? কে খুলেছিল? আর কী কারণেই বা ২০টি গাড়ি সেখানে সার বেঁধে দাঁড়িয়েছিল—তদন্তকারীরা এখন সেই দিকেই নজর দিচ্ছেন।

সূত্রের দাবি, সোমবার সাধারণত দিল্লির বেশ কিছু বাজার বন্ধ থাকে। কিন্তু বিস্ফোরণস্থলের আশপাশের বাজার খোলা ছিল (Delhi Blast)। তদন্তকারীদের মতে, এই তথ্য আগেই জেনে টার্গেট করা হয়েছিল ওই অঞ্চলটিকে। কারণ সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো সংলগ্ন সিগন্যালে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে, তাতে প্রাণ যায় আটজনের।

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কে অনুমতি দিল পার্কিং লট খোলার? স্থানীয় সূত্র বলছে, সাধারণত বন্ধ থাকার দিনেও কিছু গাড়ি সেখানে দাঁড়ায়, এলাকার কয়েকজন ঠিকাদার সেই লট চালায়। তাহলে কি তাদের মধ্যেই কেউ জড়িত? তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই সেই ঠিকাদারদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন। পুলিশের ধারণা, ঘাতক উমর নবি ওই পার্কিংয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা গাড়ি নিয়ে বসেছিলেন—হয়তো কারোর নির্দেশের অপেক্ষায়, হয়তো কোনও সঙ্গীর জন্য (Delhi blast)।

তদন্তের সূত্রে প্রকাশ, বিস্ফোরকবাহী হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি একাধিকবার মালিকানা বদল করে উমরের হাতে আসে। নম্বরপ্লেটের সূত্র ধরে প্রথমে ধরা হয় হরিয়ানার মহম্মদ সলমনকে, যার নামে গাড়িটি রেজিস্টার্ড ছিল। পরে জানা যায়, তিনি কয়েক বছর আগে গাড়িটি বিক্রি করেছিলেন দিল্লির দেবেন্দ্র নামে এক ব্যক্তিকে, যিনি আবার তা বিক্রি করেন জম্মু-কাশ্মীরের তারিকের কাছে। তারিকের ফরিদাবাদে গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে। সেখান থেকেই গাড়িটি কেনেন আমির নামে এক কলমিস্ত্রি (Delhi blast)। আর এই আমিরের নামই উঠে আসছে উমরের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হিসেবে।

এই মুহূর্তে আমির ও তাঁর ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, আমির গত তিন বছর কাশ্মীরে ছিলেন না—এই সময়ে তিনি কোথায় ছিলেন, কাদের সংস্পর্শে ছিলেন, তারই খোঁজ চলছে। একই সঙ্গে আটক করা হয়েছে তারিককেও।

তদন্তকারীরা এখন পরিষ্কার করতে চাইছেন, কেন বন্ধ থাকার দিনেও পার্কিং লট খোলা ছিল এবং কে বা কারা এই সুবিধা নিয়েছিল। সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ ওই পার্কিংয়ের নজরদারির দায়িত্বে থাকা একাধিক ব্যক্তিও হঠাৎ বেপাত্তা। ফলে প্রশ্ন উঠছে—এই বিস্ফোরণ কি সত্যিই আত্মঘাতী হামলা, নাকি কোনও ভিতরঘাতী ষড়যন্ত্র?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts