চাঞ্চল্যকর ধর্মান্তর এবং আর্থিক প্রতারণার মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED Raid) এবার চঙ্গুর বাবা ওরফে জালালউদ্দিনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। সূত্রের খবর, এই বিতর্কিত সাধুর হেফাজতে নেওয়ার জন্য শীঘ্রই আদালতে আবেদন জানাবে সংস্থা (ED Raid)।
ইতিমধ্যেই বাবার তৈরি ও পরিচালিত ৪০টি প্রতিষ্ঠানের গত দশ বছরের আয়কর রিটার্ন সংগ্রহ করছে ED (ED Raid)। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই প্রতিষ্ঠানগুলি আসলে শেল কোম্পানি, যেগুলির মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসা অবৈধ অর্থ পাচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত ডেটা সংগ্রহ করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে বলে জানা গেছে।
জালালউদ্দিন, যিনি এক সময় ‘আধ্যাত্মিক গুরু’ রূপে কাজ করতেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ধর্মান্তর ঘটানোর জন্য একটি সুসংগঠিত নেটওয়ার্ক চালানোর। তদন্তকারীদের দাবি, একটি ‘ধর্মান্তরের রেটকার্ড’ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল, যেখানে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছিল (ED Raid)। এই কাজে ব্যবহৃত অর্থ বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্সের মাধ্যমে যোগান দেওয়া হয়েছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের।
এই বিদেশি অর্থ দিয়েই উত্তরপ্রদেশ, পুনে এবং নাগপুরে একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলেও তথ্য মিলেছে। তদন্তকারীরা এখন ওই জমির নথিপত্র সংগ্রহ করে বাজেয়াপ্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে ওই সম্পত্তিগুলির মোট মূল্য ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি বলেই অনুমান।
শুধু জমিজমাই নয়, ED-এর হাতে উঠে এসেছে বাবার বিলাসবহুল জীবনযাত্রার প্রমাণও। বিদেশি প্রজাতির ঘোড়া ও কুকুর কেনায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন চঙ্গুর বাবা। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই খরচও করা হয়েছে কালো টাকা ব্যবহার করেই।
চঙ্গুর বাবা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের সব সম্পত্তি, লেনদেন এবং আর্থিক সংস্থার উপর নজরদারি চালাচ্ছে ED। খুব শীঘ্রই মানি লন্ডারিং আইনের (PMLA) আওতায় বাবার সম্পত্তি অ্যাটাচ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তদন্ত আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। বাবার আর্থিক কারচুপি ও ধর্মান্তরের জাল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে সমস্ত নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ED সূত্রে জানানো হয়েছে।