শুক্রবার (২৩ মে) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) (ED) অভিযোগ করেছে, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা ‘Young Indian Limited’ নামে এক কোম্পানিকে বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়েছেন, যেটি রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
ইডি-র (ED) চার্জশিটে বলা হয়েছে, কংগ্রেস নেতাদের কাছ থেকে আসা এই ‘চাঁদা’র টাকা আদতে অর্থ পাচার ও প্রতারণার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। রাহুল ও সোনিয়াকে এই অর্থের ‘লাভবান’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে (ED)।
কীভাবে শুরু হয়েছিল?
ইডির দাবি, ‘Young Indian’ মাত্র ৫০ লক্ষ টাকায় Associated Journals Limited-এর কাছ থেকে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে। এই ট্রান্সফারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অর্থনৈতিক কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।
এই সন্দেহজনক লেনদেনের বড় অংশের সূত্র মিলেছে তেলেঙ্গানা থেকে। সেই সময়ের বিধায়ক এবং বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি-র নির্দেশে, ২০২২ সালে চারজন কংগ্রেস নেতা প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন ইয়ং ইন্ডিয়ানকে।
- গালি অনিল কুমার (২০ লক্ষ টাকা)
- আলি শাব্বির (২০ লক্ষ)
- পি. সুদর্শন (১৫ লক্ষ)
- তৎকালীন কর্মকারী সভাপতি (২৫ লক্ষ)
অন্যান্য রাজ্যেও কারচুপি?
কর্ণাটকে: পবন বংসলের নির্দেশে ডি কে শিবকুমার ও তাঁর ভাই এমপি ডি কে সুরেশ প্রত্যেকে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। পাশাপাশি, শিবকুমারের সঙ্গে যুক্ত National Education Trust দিয়েছে ২ কোটি টাকা!
পাঞ্জাবে: অমিত বিজ ২০১৫ সালে তিন কিস্তিতে মোট ৩.৩০ কোটি টাকা দিয়েছেন।
ইডি দাবি করছে, এইসব অনুদান আদতে স্বেচ্ছাচারী ছিল না, বরং একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ—রাজ্যস্তরের নেতাদের মাধ্যমে টাকা ঢোকানো হয়েছিল ‘Young Indian’-এ।
এখন কী হবে?
ইডি এই মামলায় সোনিয়া গান্ধীকে ‘অভিযুক্ত নম্বর ১’ এবং রাহুল গান্ধীকে ‘অভিযুক্ত নম্বর ২’ হিসাবে নাম করেছে। মামলায় আরও পাঁচজন অভিযুক্ত আছেন। এখন নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ, কোর্টে অতিরিক্ত তথ্য জমা দেওয়া ইত্যাদি হবে।
কংগ্রেস এই পুরো মামলাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলেই দাবি করছে।