আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) তিন দিন পর এখন পর্যন্ত ২৭০ জন নিহতের মধ্যে ৩২ জনের ডিএনএ শনাক্ত করা গেছে, এবং ১৪টি পরিবারের হাতে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনায় (Plane Crash) নিহতদের মধ্যে ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। তাঁর ডিএনএ মিলিয়ে শনাক্ত করা হয় সকাল ১১টা ১০ মিনিটে, এবং রাত ১টার দিকে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
PTI সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে জানা গেছে, যাদের ডিএনএ (Plane Crash) শনাক্ত করা গেছে, তাদের বেশিরভাগই গুজরাট ও রাজস্থানের বাসিন্দা।
দেহগুলি এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে শনাক্ত (Plane Crash) করা ছিল অসম্ভব। তাই ডিএনএ মেলানো ছাড়া উপায় ছিল না।
আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ রাজনীশ পটেল জানিয়েছেন,
“এখন পর্যন্ত ৩২টি ডিএনএ নমুনা মিলেছে এবং ১৪টি মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই মৃতরা উদয়পুর, ভদোদরা, খেড়া, মেহসানা, অরবল্লী, আহমেদাবাদ এবং বোতাদ জেলার বাসিন্দা ছিলেন।”

দুর্ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৩০টি দল গঠন করা হয়েছে, যারা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করছে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জন এবং আরও ২৯ জন সাধারণ নাগরিক, যাদের মধ্যে ৫ জন এমবিবিএস ছাত্র ছিল, প্রাণ হারিয়েছেন।
শুধু এক জন যাত্রী অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। এই বিমানটি বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেঘানীনগর এলাকার মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ভেঙে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়।
এই দুর্ঘটনার ফলে মেডিকেল কলেজের হোস্টেল ও ক্যাফেটেরিয়াতেও বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB) ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।