Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • দেশ
  • বিমান টিকিট থেকে ধাবা পর্যন্ত— দিল্লি বিস্ফোরণের ভয়ঙ্কর সূত্র লুকিয়ে ডা. আদিলের রোডম্যাপের মধ্যে
দেশ

বিমান টিকিট থেকে ধাবা পর্যন্ত— দিল্লি বিস্ফোরণের ভয়ঙ্কর সূত্র লুকিয়ে ডা. আদিলের রোডম্যাপের মধ্যে

adil arrested
Email :3

দিল্লির রেড ফোর্ট বিস্ফোরণের তদন্ত ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে (Delhi Blast)। এবার পুলিশের জালে কাশ্মীরের কুলগামের বাসিন্দা এবং সহারানপুরের এক চিকিৎসক—ডা. আদিল আহমেদ (Dr Adil Ahmed)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানভিত্তিক জইশ-এ-মোহাম্মদ (JeM)-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বিস্ফোরণের কয়েকদিন আগে দিল্লিতে (Delhi Blast) এসে কিছু রহস্যময় যোগাযোগ করেছিলেন।

তদন্তে জানা গিয়েছে, ৩১ অক্টোবর শ্রীনগর থেকে দিল্লি আসেন আদিল। ইন্ডিগোর এক বিমানে ওঠেন তিনি, আর সেই টিকিটই এখন তদন্তে সোনার খনি (Delhi Blast)। সেই টিকিটটি উদ্ধার হয়েছে সহারানপুরে তাঁর বাড়ির বাইরের আবর্জনার স্তূপ থেকে। কর্মকর্তাদের দাবি, ওই টিকিট প্রমাণ করছে তাঁর দিল্লি সফর এবং কার কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, সেই পথেই এখন এগোচ্ছে তদন্ত।

দিল্লিতে কয়েকদিন কাটানোর পর আদিল ফিরে যান সহারানপুরে (Delhi Blast), যেখানে তিনি একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে কাজ করতেন। এরপর ৬ নভেম্বর রাতে শহরের এক ধাবা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী—জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সহারানপুর পুলিশ এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG)। ধরা পড়ার সময় তিনি পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন বলেই জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

ডা. আদিলের জন্ম কুলগামের ভানপুরা গ্রামে। শ্রীনগর মেডিক্যাল কলেজ থেকে MBBS পাশ করে তিনি অনন্তনাগ মেডিক্যাল কলেজে কাজ করতেন। পরে ২০২৪ সালে চাকরি ছাড়েন এবং উত্তরপ্রদেশে কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে যোগ দেন। শেষ পর্যন্ত সহারানপুরের ‘Famous Medicare Hospital’-এ কর্মরত ছিলেন তিনি।

এখন গোয়েন্দারা তাঁর ফোন, ল্যাপটপ ও আর্থিক লেনদেনের ওপর নজর রেখেছেন। দেখা হচ্ছে, ১০ নভেম্বরের রেড ফোর্ট বিস্ফোরণের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ ছিল কি না। এই বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১৩ জন, আহত বহু। গাড়িতে ব্যবহৃত হয়েছিল উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক।

এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ATS কানপুর থেকে আরও এক চিকিৎসা ছাত্রকে আটক করেছে—ডা. মোহাম্মদ আরিফ (৩২), যিনি গনেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী মেডিক্যাল কলেজে কার্ডিওলজিতে প্রথম বর্ষের ছাত্র। সূত্রের দাবি, আদিল ও আরিফের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।

তদন্তকারী সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “দু’জনেই উচ্চশিক্ষিত, এবং এদের মাধ্যমে এক ‘ইন্টেলেকচুয়াল টেরর নেটওয়ার্ক’-এর হদিস মিলছে। দিল্লি, সহারানপুর ও কাশ্মীরের সংযোগ অস্বাভাবিকভাবে মিলছে এক বিন্দুতে।”

এই ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে আলোড়ন। নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক—শিক্ষিত ও চিকিৎসক সমাজের ভেতরও কি ঢুকে পড়ছে জঙ্গি সংগঠনের ছায়া? কেন্দ্রীয় সংস্থা NIA ও ATS একসঙ্গে এখন আদিল আহমেদ ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ইন্টারোগেশন শুরু করেছে। তদন্তকারীদের মতে, “এটি শুধুমাত্র একজন চিকিৎসকের বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি সুসংগঠিত চক্রের অংশ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts