Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • দিল্লিতে ‘মৌসুমি ধস’! বৃষ্টির জেরে অফিসের ছাদ ভেঙে মৃত্যু পুলিশ আধিকারিকের
দেশ

দিল্লিতে ‘মৌসুমি ধস’! বৃষ্টির জেরে অফিসের ছাদ ভেঙে মৃত্যু পুলিশ আধিকারিকের

Email :33

রবিবার ভোররাতে প্রবল বর্ষণ (Delhi Rain), ঝড় ও বজ্রপাত যেন কার্যত স্তব্ধ করে দিল ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এনসিআর (ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন)। রাতভর চলা বৃষ্টিতে শহরের(Delhi Rain) বিভিন্ন অংশে জল জমে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল, ব্যাহত হয় বিমান পরিষেবা—এই বিপর্যয়ের মধ্যে প্রাণ হারান এক পুলিশ আধিকারিক।

সূত্রের খবর, এক সহকারী কমিশনারের (Delhi Rain) কার্যালয়ের ছাদ ভেঙে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পুলিশকর্মীর। এই ঘটনায় প্রশাসনিক পরিকাঠামোর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Delhi Rain) রাত ১১:৩০ থেকে সকাল ৪টা পর্যন্ত সময়কালে ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রায় ২০০টিরও বেশি উড়ান প্রভাবিত হয়। ৪৯টি ফ্লাইটকে অন্য শহরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, জানানো হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে।

ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD)-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সর্বোচ্চ বায়ুর গতি (Delhi Rain) রাত ২টা নাগাদ সাফদরজংয়ে ঘণ্টায় ৮২ কিমি পর্যন্ত পৌঁছয়। প্রগতি ময়দানে ৭৬ কিমি/ঘণ্টা এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে ৩৭ কিমি/ঘণ্টা হাওয়া বয়ে যায়।

দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার সকালেও বিমান পরিষেবার স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে তাঁরা নিজেদের ফ্লাইটের সর্বশেষ আপডেট নিজ নিজ এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে জেনে নেন।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে রাতভর বৃষ্টিতে ৫ থেকে ৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। দিল্লির বিমানবন্দর সংলগ্ন আন্ডারপাস এলাকায় জল জমে বহু গাড়ি বন্ধ হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় ঘটে সেই আন্ডারপাসে যা দিল্লিকে বিমানবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করে। সেখানেই ডজনখানেক গাড়ি সম্পূর্ণ ডুবে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মিন্টো রোড এলাকার একটি গাড়ি জলমগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংবাদ সংস্থা ANI এই ঘটনার ভিডিও ও চিত্র প্রকাশ করেছে।

আবহাওয়া দফতর আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল যে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালে দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ধুলোঝড়, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে এবং ৬০ থেকে ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় বইতে পারে। বাস্তবে তা-ই ঘটেছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে সরকারি প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়েও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। একের পর এক প্রশ্ন উঠছে— রাজধানীতে মৌসুমি পূর্বাভাস থাকলেও কেন এখনও এ ধরনের প্রাণঘাতী ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts