দিল্লির (Delhi) মজনু কা টিলায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ডাবল মার্ডার কেসে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২২ বছরের সোনাল আর্য এবং মাত্র ছ’মাসের একটি শিশুকন্যার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর (Delhi), গোটা রাজধানী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র চাঞ্চল্য। তদন্তে উঠে এসেছে এমন এক বীভৎস কাহিনি, যা শুনলে শিউরে উঠবেন আপনিও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত নিখিল ও সোনালের আলাপ হয় ২০২৩ সালে উত্তরাখণ্ডের হালদোয়ানিতে (Delhi)। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁদের প্রেম। পরে সোনাল গর্ভবতী হন। তদন্তে উঠে এসেছে, সেই সময় তাঁরা তাঁদের নবজাতক কন্যাকে মাত্র ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। এরপর দু’জনে মিলে দিল্লির (Delhi) ওয়াজিরাবাদে থাকতে শুরু করেন।
কিন্তু সেই সুখ বেশিদিন টেকেনি। সোনালের মোবাইলে নিখিল তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু দুর্গেশের সঙ্গে সন্দেহজনক চ্যাট দেখতে পান। সেখান থেকেই সম্পর্কের ভিত টলতে শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যে সোনাল ফের গর্ভবতী হন। নিখিল তাঁকে সন্তান রাখতে এবং বিয়ে করে সংসার শুরু করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু সোনাল স্পষ্ট জানান, তিনি সন্তান রাখতে চান না এবং গর্ভপাত করিয়ে নেন।
এই গর্ভপাত নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়—নিকহিলের মনে হয়, দুর্গেশই সোনালকে গর্ভপাত করাতে সাহায্য করেছে। এরপর থেকেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে শুরু করে। তারা আলাদা হয়ে যায়।
ঘটনার দিন, নিখিল রীতিমতো খোঁজ করে দুর্গেশের বাড়ি পৌঁছে যান। সেখানেই সোনালকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দুজনের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বচসা, আর সেই সময় ক্ষিপ্ত নিখিল একটি সার্জিক্যাল ব্লেড দিয়ে সোনালের গলা কেটে দেন। ঘরে তখন দুর্গেশের ছয় মাসের শিশু কন্যাও ছিল। সেই শিশুকেও নির্মমভাবে খুন করেন নিখিল। বিশ্বাস ছিল, দুর্গেশের কারণেই সব হয়েছে—তাই তাঁর মেয়েকেও রেহাই দেননি।
মঙ্গলবার দুপুরে এই জোড়া খুনের খবর মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে, সেখানে সোনাল এক মহিলা ও তাঁর দুই মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। ঘটনার আগেও নিখিল ও সোনালের মধ্যে বারবার ঝামেলা হচ্ছিল। আলাদা হয়ে গেলেও এই প্রতিহিংসা থেকেই ঘটে যায় এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড।