দিল্লির (Delhi) সীলামপুর এলাকায় শনিবার সকাল ৭টা ৫ মিনিট নাগাদ হঠাৎ করেই ধসে পড়ল একটি বহুতল ভবন। সকালবেলায় যখন গোটা এলাকা ধীরে ধীরে জেগে উঠছিল, তখনই ঘটল এই ভয়াবহ বিপর্যয়। মুহূর্তের মধ্যে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ থেমে গেল। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে গেল বহু মানুষ—কে বাঁচবে, কে আর ফিরবে না, তা নিয়ে তৈরি হল প্রবল অনিশ্চয়তা (Delhi)।
ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দিল্লি পুলিশ ও দমকল বাহিনীর একাধিক ইউনিট। তৎপরতার সঙ্গে যোগ দেয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF) একটি বিশেষ দল (Delhi)। স্থানীয় মানুষরাও সাহায্যে এগিয়ে আসেন। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। আপাতত চারজনকে জীবিত অবস্থায় টেনে বের করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে (Delhi)।
NDRF-এর এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, “সকাল ৭টার কিছু পরেই খবর আসে ভবন ধসের। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দল রওনা দেয়। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে কাজ করছে। স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে প্রাণপণ সহযোগিতা করছেন। তবে এখনও বলা সম্ভব নয় ধ্বংসস্তূপের নীচে ঠিক কতজন আটকে আছেন।”
এই ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। ভবনটি কীভাবে হঠাৎ করে এত সহজেই ধসে পড়ল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে এর আগে শুক্রবার দিল্লির মিঠাইপুল এলাকার সর্দার বাজারেও একই রকমভাবে ভেঙে পড়েছিল তিনটি দোকান-সহ একটি বাড়ি। সেই ঘটনায় মেট্রোর কাজ চলাকালীন কম্পনের জন্য ভিত নড়ে যাওয়াই প্রাথমিক কারণ হিসেবে ধরা হয়েছিল। প্রাণ হারান একজন, দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন নিহতের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, রাজধানীর বুকে একের পর এক এমন দুর্ঘটনা কেন? ভবনের গুণমান, নির্মাণ সংস্থার দায়িত্ববোধ এবং প্রশাসনিক নজরদারির অভাব—সবই কি এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী?