Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • দেশ
  • বিস্ফোরণের পর মার্কিন দূতাবাসের পরামর্শে চাঞ্চল্য, দিল্লির ‘স্লিপার সেল’ নিয়ে নতুন জল্পনা
দেশ

বিস্ফোরণের পর মার্কিন দূতাবাসের পরামর্শে চাঞ্চল্য, দিল্লির ‘স্লিপার সেল’ নিয়ে নতুন জল্পনা

delhi blast aaaaa
Email :2

দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Delhi Blast) পর এবার সরাসরি সতর্কবার্তা জারি করল মার্কিন দূতাবাস। সোমবারের সেই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত আটজন। আহত হয়েছেন অনেকে। ঘটনার পর মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাসের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে—ভারতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকরা যেন আপাতত লালকেল্লা, চাঁদনি চক এবং আশেপাশের জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলেন (Delhi Blast)।

দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, “স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে (Delhi Blast)। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে ভারত সরকার কয়েকটি রাজ্যে লাল সতর্কতা জারি করেছে।” সঙ্গে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, পর্যটন এলাকায় চলাচল করলে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে (Delhi Blast)।

শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, নয়াদিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে অন্যান্য দেশও। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। পরিস্থিতির ওপর আমরা গভীরভাবে নজর রাখছি।” ব্রিটিশ হাইকমিশনার লিন্ডি ক্যামেরন লিখেছেন, “নয়াদিল্লির বিস্ফোরণে যাঁরা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।” শ্রীলঙ্কার দূতাবাসের পক্ষ থেকেও শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ নাগাদ লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের পর মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ধরে যায় আশেপাশের গাড়িগুলিতে। দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, “বিস্ফোরণের আগে গাড়িটিকে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে দেখা যায়। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর সেটি বেরিয়ে আসে এবং লোয়ার সুভাষ মার্গে পৌঁছনোর পরই বিস্ফোরণ ঘটে।”

সূত্রের খবর, এই হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। তাদের সক্রিয় মডিউলই নাকি উমর নবি নামে এক যুবকের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের মাত্রা দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, গাড়ির ভিতরে উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, যার সঙ্গে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া আরেকটি বিস্ফোরকভর্তি গাড়ির মিলও পাওয়া গিয়েছে।

এখন তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, দিল্লির মধ্যেই কোনও ‘স্লিপার সেল’ সক্রিয় রয়েছে কিনা। কারণ এত নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেও লালকেল্লার মতো জায়গায় এই বিস্ফোরণ ঘটানো নিঃসন্দেহে ভয়াবহ নিরাপত্তা ব্যর্থতা। দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি এনআইএ-ও তদন্তে নামছে বলে সূত্রের খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts