দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় নতুন চাঞ্চল্য। বুধবার গভীর রাতে হরিয়ানার খান্দাওয়ালি গ্রাম থেকে উদ্ধার হল সন্দেহভাজন ডাক্তার উমর উন নবির (Dr Umar Un Nabi) লাল Ford EcoSport গাড়ি (Delhi Blast)। গাড়িটি পার্ক করা ছিল ডা. উমরের নিজস্ব বাড়ির সামনে। নিরাপত্তা সংস্থার আশঙ্কা, ওই গাড়িতেই বিস্ফোরক বা অস্ত্র মজুত থাকতে পারে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ফরেনসিক ও বোম্ব স্কোয়াডের বিশেষ দল (Delhi Blast)।
গাড়িটির নম্বর DL10CK0458। রেজিস্ট্রেশন রেকর্ডে দেখা গিয়েছে, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন RTO থেকে গাড়িটি রেজিস্টার করা হয় ডা. উমর উন নবির নামে (Delhi Blast)। কিন্তু তদন্তে জানা গেছে, ওই গাড়ি কেনার সময় তিনি ভুয়ো ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন। ঠিকানাটি আসলে উত্তর-পূর্ব দিল্লির এক মাদ্রাসার। এই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার রাতে হানা দেয় দিল্লি পুলিশ। মাদ্রাসার প্রধান মৌলভি তাসাভ্বর জানিয়েছেন, রাতেই পুলিশ এসে খোঁজখবর নেয় এবং উমরের দেওয়া তথ্য ভুল প্রমাণিত হয় (Delhi Blast)।
গোয়েন্দাদের দাবি, দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সাদা Hyundai i20 গাড়ি চালাচ্ছিলেন স্বয়ং উমর। সেই গাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর থেকেই তল্লাশি চলছিল এই লাল EcoSport-টির, কারণ গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী এটি ছিল হামলার দ্বিতীয় গাড়ি। সন্দেহ করা হচ্ছে, এতে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, অস্ত্র বা বিস্ফোরক লুকোনো ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডা. উমর ২০২৩ সালে ফারিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিক্যাল স্কুলে যোগ দেন। তার আগে জম্মু-কাশ্মীরের আনন্তনাগের এক হাসপাতাল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয় এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় (Delhi blast)। পরে তিনি এক ৯-১০ সদস্যের সন্ত্রাসী চক্রের সঙ্গে যুক্ত হন, যার মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়জন চিকিৎসকও ছিলেন বলে জানা গেছে।
বিস্ফোরণের দিন বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ডা. উমর কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তা জানতে রেড ফোর্ট এলাকার মোবাইল টাওয়ারের ডেটা পরীক্ষা করছে দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বিস্ফোরণস্থল থেকে পাওয়া নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, ফারিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার ডা. মুজাম্মিল ও ডা. শাহিন—এই দুই সহযোদ্ধা ধরা পড়ার পর ভয় পেয়ে একাই হামলা চালান উমর। তাঁর গাড়ি উদ্ধার হওয়ায় দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় তদন্ত আরও এগোবে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।











