দিল্লির বুক কাঁপিয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। লালকেল্লার সামনে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের গোলা (Delhi Blast)। চারদিকে ছড়িয়েছে দেহাংশ, জ্বলছে গাড়ির পর গাড়ি। এখনও ধোঁয়ায় ঢেকে এলাকা। সোমবার সন্ধ্যার এই ভয়াবহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ভূপেন্দর সিং নিজেই জানিয়েছেন, “আমি ঠিক পিছনের গাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম, আগুনের গোলা!”— তাঁর কণ্ঠে আতঙ্কের কম্পন (Delhi Blast)।
নয়ডা থেকে কাজের সূত্রে দিল্লিতে এসেছিলেন ভূপেন্দর সিং (Delhi Blast)। লালকেল্লার দিক দিয়ে গাড়িতে যাচ্ছিলেন। সিগন্যাল লাল হতেই এক গাড়ি থামল সামনে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কান ফাটানো বিস্ফোরণ! ভয়াবহ শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। ভূপেন্দর বলেন, “বিস্ফোরণের (Delhi Blast) শব্দে কানে তালা লেগে গিয়েছিল। গাড়ির দরজা খুলে রাস্তায় নামতেই দেখি আগুনের ফুলকি উড়ছে চারদিকে।” আতঙ্কে তিনি ছুটে পালান, পরে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা একাধিক দেহও দেখতে পান।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা শুনে গা শিউরে উঠছে সাধারণ মানুষের। তাঁর কথায়, “বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের গাড়িগুলির কাঁচ ভেঙে যায়। প্রায় দু’কিলোমিটার দূর থেকেও শব্দ শোনা গিয়েছে। বুঝে উঠতে পারিনি, এটা সিলিন্ডার বিস্ফোরণ না বোমা হামলা, তবে মনে হচ্ছে এটা পরিকল্পিত বোমা বিস্ফোরণ।”
বিস্ফোরণের খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দিল্লি পুলিশ, এনআইএ ও এনএসজি। নাশকতার কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা। এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক, ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা অঞ্চল। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
ভূপেন্দর জানান, “পরিবারের ফোন আসছে একের পর এক। সবাই জানতে চাইছে আমি ঠিক আছি কিনা। বিস্ফোরণের ঠিক সামনেই ছিলাম, সেকেন্ডের জন্য বেঁচে গেছি।” তাঁর চোখে এখনও ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। রাত পেরিয়েও জ্বলছে বিস্ফোরণে পুড়ে যাওয়া গাড়ির ধ্বংসস্তূপ।
রাজধানীর অন্যতম নিরাপত্তা বলয়ে এমন বিস্ফোরণ ঘিরে চরম প্রশ্ন উঠেছে— এটা কি কেবল দুর্ঘটনা, না কি এর পেছনে লুকিয়ে আছে বড়সড় নাশকতার ছক? তদন্ত চলছে, কিন্তু আতঙ্কে এখনও থরথর করছে দিল্লি।












