সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি ( Delhi Blast)। এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কারণ জানা না গেলেও নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, “কোনও সম্ভাবনাই খারিজ করা হচ্ছে না।” ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন দায় স্বীকার করেনি, তবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে একটি সুপরিকল্পিত জঙ্গি নেটওয়ার্ক ( Delhi Blast)।
গত কয়েকদিন ধরেই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার নজরে ছিল সন্দেহজনক কয়েকটি শহর। বিশেষ করে কাশ্মীর ও উত্তরপ্রদেশের সংযোগসূত্র ( Delhi Blast)। তদন্তে উঠে এসেছে জইশ-ই-মহম্মদের ছায়া। গত ১৯ অক্টোবর কাশ্মীরের নওগ্রাম এলাকায় জইশ সমর্থনে একাধিক পোস্টার দেখা যায়। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের এক চিকিৎসকের গতিবিধি। তাঁর নাম ডক্টর আদিল মজিদ রাদার— বেসরকারি এক হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। তাঁকে গ্রেফতার করে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক ও অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার করে তদন্তকারীরা ( Delhi Blast)।
এরপর সূত্র মেলে পুলওয়ামার বাসিন্দা, ফরিদাবাদের আল ফালহা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা আল ফালহা স্কুল অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চের চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ গানাই-এর দিকে। ফরিদাবাদ পুলিশের সহায়তায় তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। তাঁর ধৌজ এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। ঘটনাস্থল থেকে এক মসজিদের মৌলানাকেও আটক করেছে পুলিশ ( Delhi Blast)।
চাঞ্চল্য আরও বাড়িয়েছে এই তথ্য— সরকারি হাসপাতালের লকার এখনো রাদারের দখলে ছিল, যদিও তিনি বহু আগেই চাকরি ছেড়েছেন। সেই জায়গা থেকেই উদ্ধার হয়েছে কিছু বিস্ফোরক উপাদান। তদন্তে অনুমান, চিকিৎসক সেজে তাঁরা জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছিলেন, এবং ফান্ড সংগ্রহ করছিলেন তথাকথিত ‘চ্যারিটেবল প্রজেক্ট’-এর নামে।
কাশ্মীর, শ্রীনগর, অনন্তনাগ, গান্ডেরওয়াল, সোপিয়ান ও সাহারানপুরে চলছে তল্লাশি অভিযান। তদন্তকারীদের দাবি, এই মডিউলের সদস্যরা এনক্রিপটেড চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত— যাদের মধ্যে রয়েছে চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, এবং কয়েকজন গবেষকও।
ইতিমধ্যেই মোট সাতজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাঁদের জেরা করে জানা গিয়েছে, দিল্লির বিস্ফোরণ ঘটনার সঙ্গে ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের যোগ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে, সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার মধ্যে সুস্পষ্ট যোগসূত্র রয়েছে। দিল্লির লালকেল্লার কাছে হওয়া বিস্ফোরণ, ফরিদাবাদের ধৌজ গ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক, এবং পুলওয়ামার ডাক্তারদের যোগাযোগ— সব মিলিয়ে সামনে আসছে ভারতের এক নতুন ধরনের ‘ইন্টেলেকচুয়াল টেরর নেটওয়ার্ক’।
অমিত শাহের নির্দেশে ইতিমধ্যেই এনআইএ, দিল্লি পুলিশ স্পেশাল সেল, এবং কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নেমেছে। গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান চলছে, আর সেইসঙ্গেই রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।











