দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে নেমে আরও এক সন্দেহভাজন যুবককে আটক করল গোয়েন্দারা (Delhi Blast)। শনিবার পুলওয়ামা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ এবং স্থানীয় তদন্তকারী সংস্থার যৌথ অভিযানে। ধৃত যুবকের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন, যা গোটা মামলাকে আরও জটিল করে তুলেছে (Delhi Blast)।
তদন্ত সূত্রের খবর, ধৃত যুবকের নাম তুফায়েল আহমেদ। শ্রীনগরের বাসিন্দা হলেও তিনি পুলওয়ামায় ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে কাজ করতেন (Delhi Blast)। কিন্তু এই সাধারণ পরিচয়ের আড়ালে তিনি জইশ নেটওয়ার্ককে নানা ভাবে সাহায্য করতেন বলেই দাবি তদন্তকারীদের। আত্মঘাতী জঙ্গি উমার মহম্মদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে (Delhi Blast)। ঠিক কীভাবে তিনি বিস্ফোরণ কাণ্ডে যুক্ত ছিলেন, কোথায় কোথায় তাঁর ভূমিকা ছিল, কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন—সব কিছুই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দিল্লি বিস্ফোরণের পর থেকেই গোটা দেশজুড়ে তল্লাশি চালানো শুরু করেছে এনআইএ। তদন্ত এগোতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। ইতিমধ্যে শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁরা নাকি জইশের ‘হোয়াইট-কলার টেরর’ নেটওয়ার্কের অংশ। পাশাপাশি বিস্ফোরণের দুই মূল ষড়যন্ত্রকারী-সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কেও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে, কারণ জঙ্গিদের যোগাযোগের একটি বড় অংশ ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছিল বলে সন্দেহ।
ধৃত তুফায়েলের কাছ থেকে নয়া তথ্য বেরোবে বলেই আশা তদন্তকারীদের। তাঁর গ্রেপ্তারি দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার রহস্য উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আরও জোরদার করা হয়েছে।










