আজ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকে নিজে উপস্থিত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Operation Sindoor)। তবে দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে একতার বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তা পড়ে শোনান উপস্থিত বিরোধী দলনেতাদের সামনে (Operation Sindoor)। মোদির বার্তা ছিল স্পষ্ট: “এই সংকটের সময় দেশের প্রতিটি নাগরিক ও রাজনৈতিক দলের একজোট হয়ে দাঁড়ানো প্রয়োজন। (Operation Sindoor)”
বৈঠকে রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) ছিল অত্যন্ত সফল। ভারতীয় বাহিনী নিখুঁত পরিকল্পনায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়ে অন্তত ১০০ জন পাক জঙ্গিকে নিকেশ করেছে (Operation Sindoor)। সূত্র অনুযায়ী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, পাকিস্তান যদি ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করে, তাহলে ভারতের জবাব হবে আরও বেশি শক্তিশালী এবং প্রস্তুতি তার জন্য সম্পূর্ণ (Operation Sindoor)।
উপস্থিত ছিলেন সব বড় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা:
সর্বদল বৈঠকে বিরোধীদের তরফে উপস্থিত ছিলেন—লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে প্রমুখ। কেন্দ্রীয় পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বৈঠকে অংশ নেন।
বিরোধীদের সমর্থন, তবে প্রশ্নও তোলা হয়:
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিরোধী নেতাদের জানান, ভারত যুদ্ধ চায় না। তবে পাকিস্তান যদি সীমা অতিক্রম করে, তাহলে কঠোর ও সুসংহত প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত রয়েছে দিল্লি। বিরোধী নেতারাও জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কেন্দ্রের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
তবে প্রশ্নও উঠেছে। মল্লিকার্জুন খাড়গে সরাসরি প্রশ্ন করেন, “প্রধানমন্ত্রী কেন এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত?” রাহুল গান্ধী সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে জাতীয় ঐক্যের বার্তা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। যদিও সরকার এখনও সে বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গও উঠে আসে:
তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের দিকেও নজর রাখার পরামর্শ দেন। সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রকে সচেতন করেন তিনি।
এই সর্বদলীয় বৈঠক স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দেয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেবল একটি সামরিক প্রতিঘাত নয়—এটি একটি বৃহত্তর কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বার্তা।