দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে হঠাৎ করে কোভিড (Corona Virus) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। শনিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ANI।
কেরালা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে নতুন সংক্রমণের (Corona Virus) সংখ্যা কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগের (Corona Virus) লক্ষণ মৃদু এবং রোগীরা বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক আশ্বাস দিয়েছে যে তারা পরিস্থিতির (Corona Virus) উপর কড়া নজর রাখছে এবং বিভিন্ন সংস্থা মারফত সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে।
INSACOG-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে NB.1.8.1 নামের কোভিডের নতুন একটি সাবভ্যারিয়েন্টের একটি কেস ও LF.7 সাবভ্যারিয়েন্টের চারটি কেস ধরা পড়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টগুলো বর্তমানে WHO-র ‘Variants Under Monitoring’ তালিকায় রয়েছে এবং এশিয়ার বেশ কিছু দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে এদের ভূমিকা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতে এখনো পর্যন্ত JN.1 ভ্যারিয়েন্টই সবচেয়ে বেশি সক্রিয়, কিন্তু NB.1.8.1-এ এমন কিছু স্পাইক প্রোটিন মিউটেশন রয়েছে যা ইমিউন সিস্টেমকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে—এই কারণে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টকে ঘিরে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
এদিকে দিল্লিতে ২৩টি নতুন কেস ধরা পড়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশে ৪টি, তেলেঙ্গানায় ১টি, এবং বেঙ্গালুরুতে ৯ মাসের একটি শিশুর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শুধু কেরালাতেই চলতি মাসে ২৭০-র বেশি কেস রিপোর্ট হয়েছে।
কর্ণাটকে একজন ৮৪ বছর বয়সী কোমর্বিড বৃদ্ধের কোভিডে মৃত্যুর খবর মিলেছে, যা রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রথম কোভিড-জনিত মৃত্যু। রাজ্যে বর্তমানে ৩৮টি অ্যাকটিভ কেস রয়েছে, যার মধ্যে ৩২টি বেঙ্গালুরুর।
মহারাষ্ট্রের থানে-তে এক ২১ বছর বয়সী ডায়াবেটিস আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু হয়েছে, যিনি কোভিড পজিটিভ ছিলেন। থানে শহরে শনিবার ৮টি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে, বর্তমানে মোট ১৮ জন অ্যাকটিভ কেস।
দিল্লি, নয়ডা, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, থানে, ইন্দোর ও ঋষিকেশেও হালকা সংক্রমণের কেস রিপোর্ট হয়েছে। থানে ও বেঙ্গালুরুর মৃত্যু দু’টিই ছিল উচ্চ কোমর্বিডিটির কারণে, সংক্রমণ তীব্র ছিল না বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
এক কেন্দ্রীয় কর্মকর্তা PTI-কে জানিয়েছেন, “এই সংক্রমণগুলো বেশিরভাগই হালকা এবং বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর, হংকং-সহ কিছু দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর এলেও, সেই দেশের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এখনকার ভ্যারিয়েন্টগুলো আগের চেয়ে বেশি সংক্রামক বা মারণ নয়।”