শীর্ষ আদালতের সর্বোচ্চ পদে আসীন প্রধান বিচারপতি (CJI Gavai) বি আর গাভাই শুক্রবার এক বিরল আবেগঘন মুহূর্তে নিজের জীবনের ব্যক্তিগত কাহিনি ভাগ করে নিলেন। নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি (CJI Gavai) স্মরণ করলেন তাঁর প্রয়াত পিতার স্বপ্ন এবং সেই স্বপ্নই কীভাবে তাঁকে আইনজীবী হওয়ার পথে নিয়ে গিয়েছিল। চোখে জল, গলায় আবেগ—এই অনুভূতির মধ্যেই তিনি তুলে ধরলেন নিজের জীবনপথের শুরুর দিনগুলি।
প্রধান বিচারপতি (CJI Gavai) বলেন, “আমি একজন স্থপতি হতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার বাবার ইচ্ছা ছিল আমি যেন আইনজীবী হই। তিনি নিজে আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি।” এই কথাগুলোর সময় গাভাই (CJI Gavai) স্পষ্টতই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।
তিনি আরও জানান, তাঁর বাবা ছিলেন ড. বি আর আম্বেদকরের ভাবধারায় বিশ্বাসী ও নিবেদিতপ্রাণ। স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যার ফলে নিজের পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। সেই সময় সংসারের পুরো দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর মা ও কাকিমার উপর। একটি যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠার সেই কষ্টকর দিনগুলোর কথা স্মরণ করে গাভাই জানান, কীভাবে কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তিনি গড়ে উঠেছেন।
নিজের (CJI Gavai) স্থপতি হওয়ার স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে শুধুমাত্র বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই আইনজীবী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এক আবেগঘন স্মৃতিতে গাভাই বলেন, “যেদিন আমার নাম বিচারপতি হিসেবে সুপারিশ করা হয়, সেদিন বাবা বলেছিলেন, আইনজীবী হলে হয়তো টাকার পেছনে ছুটবে, কিন্তু বিচারপতি হলে সমাজের জন্য কাজ করতে পারবে, আম্বেদকরের পথ অনুসরণ করতে পারবে।”
প্রধান বিচারপতির আরও একটি ব্যক্তিগত অনুভব মন ছুঁয়ে যায় সকলের। তিনি বলেন, “আমার বাবা সবসময় বিশ্বাস করতেন, একদিন আমি দেশের প্রধান বিচারপতি হব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তিনি সেটা দেখে যেতে পারলেন না। ২০১৫ সালে আমরা ওঁকে হারাই। তবে আমি খুশি যে আমার মা এখনও আছেন।”
এই আবেগঘন বক্তৃতা নাগপুরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে স্পর্শ করে। দেশের প্রধান বিচারপতির এমন আন্তরিক স্বীকারোক্তি ও জীবনের পেছনের প্রেরণার কথা সাধারণ মানুষের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গাভাই জানান, অবসর গ্রহণের পর (নভেম্বরে) তিনি একটি স্মৃতিকথা লেখার কথা ভাবছেন। “এই জীবনের বহু গল্প আছে, যা হয়তো সামনে আসা উচিত,” বলে জানান তিনি।
‘বাবা বলেছিলেন বিচারপতি হও, টাকার নয়, সমাজের জন্য কাজ করো’ — প্রধান বিচারপতির আবেগঘন বক্তব্য ভাইরাল
শীর্ষ আদালতের সর্বোচ্চ পদে আসীন প্রধান বিচারপতি (CJI Gavai) বি আর গাভাই শুক্রবার এক বিরল আবেগঘন মুহূর্তে নিজের জীবনের ব্যক্তিগত কাহিনি ভাগ করে নিলেন। নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি (CJI Gavai) স্মরণ করলেন তাঁর প্রয়াত পিতার স্বপ্ন এবং সেই স্বপ্নই কীভাবে তাঁকে আইনজীবী হওয়ার পথে নিয়ে গিয়েছিল। চোখে জল, গলায় আবেগ—এই অনুভূতির মধ্যেই তিনি তুলে ধরলেন নিজের জীবনপথের শুরুর দিনগুলি।
প্রধান বিচারপতি (CJI Gavai) বলেন, “আমি একজন স্থপতি হতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার বাবার ইচ্ছা ছিল আমি যেন আইনজীবী হই। তিনি নিজে আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি।” এই কথাগুলোর সময় গাভাই (CJI Gavai) স্পষ্টতই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।
তিনি আরও জানান, তাঁর বাবা ছিলেন ড. বি আর আম্বেদকরের ভাবধারায় বিশ্বাসী ও নিবেদিতপ্রাণ। স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যার ফলে নিজের পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। সেই সময় সংসারের পুরো দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর মা ও কাকিমার উপর। একটি যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠার সেই কষ্টকর দিনগুলোর কথা স্মরণ করে গাভাই জানান, কীভাবে কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তিনি গড়ে উঠেছেন।
নিজের (CJI Gavai) স্থপতি হওয়ার স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে শুধুমাত্র বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই আইনজীবী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এক আবেগঘন স্মৃতিতে গাভাই বলেন, “যেদিন আমার নাম বিচারপতি হিসেবে সুপারিশ করা হয়, সেদিন বাবা বলেছিলেন, আইনজীবী হলে হয়তো টাকার পেছনে ছুটবে, কিন্তু বিচারপতি হলে সমাজের জন্য কাজ করতে পারবে, আম্বেদকরের পথ অনুসরণ করতে পারবে।”
প্রধান বিচারপতির আরও একটি ব্যক্তিগত অনুভব মন ছুঁয়ে যায় সকলের। তিনি বলেন, “আমার বাবা সবসময় বিশ্বাস করতেন, একদিন আমি দেশের প্রধান বিচারপতি হব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তিনি সেটা দেখে যেতে পারলেন না। ২০১৫ সালে আমরা ওঁকে হারাই। তবে আমি খুশি যে আমার মা এখনও আছেন।”
এই আবেগঘন বক্তৃতা নাগপুরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে স্পর্শ করে। দেশের প্রধান বিচারপতির এমন আন্তরিক স্বীকারোক্তি ও জীবনের পেছনের প্রেরণার কথা সাধারণ মানুষের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গাভাই জানান, অবসর গ্রহণের পর (নভেম্বরে) তিনি একটি স্মৃতিকথা লেখার কথা ভাবছেন। “এই জীবনের বহু গল্প আছে, যা হয়তো সামনে আসা উচিত,” বলে জানান তিনি।
Related Tag: