বিহারে এনডিএ-র ঝড়ো জয়ের পর ফের একবার স্পষ্ট হয়ে উঠল—নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই চলবে মগধভূমি। শুক্রবার লোজপা (রাম বিলাস) নেতা চিরাগ পাসোয়ান (Chirag paswan) সোজাসুজি জানিয়ে দিলেন, নীতীশই হবেন আগামী দিনের মুখ্যমন্ত্রী। এনডিএ পেয়েছে ২০০-রও বেশি আসন, আর তার পরই চিরাগের এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন গতি এনে দিয়েছে।
এদিন সকালে যদিও জেডিইউ-র এক পোস্টে বলা হয়েছিল, “নীতীশ কুমার ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।” কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই পোস্ট উধাও হয়ে যায়। সেটাই জল্পনার আগুনে ঘি ঢালার পক্ষে যথেষ্ট। ঠিক সেই সময়েই চিরাগের (Chirag paswan) মন্তব্য—“নীতীশ কুমারই আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এতে আমার শতভাগ ভরসা আছে।” তাঁর দলের হাতে ২টি আসন এসে গিয়েছে, ১৭টিতে এগিয়েও রয়েছে।
বিহারের ভোটে আরজেডির ফল ততটা সুখকর নয়। কমিশনের ট্রেন্ড অনুযায়ী, আরজেডি জিতেছে ৬টি আসনে এবং এগিয়ে রয়েছে আরও ২০টিতে। ‘মহাগঠবন্ধন’-এর গরিমা এবার ভোটে তেমন কোনও জায়গাই পায়নি বলে স্পষ্ট।
#WATCH | Patna, Bihar | On Lok Janshakti Party (Ram Vilas)’s lead at 19 seats in #BiharElection2025, Union Minister Chirag Paswan says, “… This time too, without pointing any fingers at the exit polls, I had confidence in myself, not on anyone’s survey… I have seen many… pic.twitter.com/G3O8oHJHqN
— ANI (@ANI) November 14, 2025
চিরাগ (Chirag paswan) বলেন, “আমি কোনও এক্সিট পোল দেখে ভরসা রাখিনি। নিজের ওপর আস্থা ছিল। আমাকে ছোট করে দেখেছিল অনেকেই, কিন্তু বিহারের মানুষ ঠিক উত্তর দিয়েছেন। এনডিএ একজোট হয়ে লড়েছে, তাই ফলও এসেছে। অন্যদিকে মহাগঠবন্ধনের অহংকারী রাজনীতিকে মানুষ ফিরিয়ে দিয়েছেন।”
এনডিএ শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীপদ নিয়েও কোনও দ্বিধা নেই। বিজেপি নেতা রাম কৃপাল যাদব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—নীতীশই থাকবেন রাজ্যের কর্ণধার। তাঁর কথায়, “বিহারের মানুষ মহাগঠবন্ধনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন ভোটবাক্সে। নরেন্দ্র মোদী ও নীতীশ কুমারের উন্নয়নই এই ভোটে জিতেছে। নীতীশই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।”
লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)-এর সাংসদ শম্ভবী চৌধুরীও একই সুরে বলেন, “নীতীশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তিনি শপথ নেবেন, আর আমরা বিহারের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করব।”
বিহারের মাটিতে এনডিএ-র এই জোরালো বিজয় শুধু রাজনৈতিক জোটের শক্তিই দেখাল না, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বকে ঘিরে থাকা সমস্ত দোদুল্যমান প্রশ্নেরও এককথায় পরিষ্কার উত্তর দিয়ে দিল। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক শপথগ্রহণের অপেক্ষা।













