ভারত ও চিনের সম্পর্ক নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সবসময়ই বলা হয়—এ সম্পর্ক ‘অম্লমধুর’ (China Foreign minister)। তবে সত্যিই কি তাই? সেই প্রশ্নের উত্তর হয়তো মিলবে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর নয়াদিল্লি সফরে। সোমবার দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন তিনি (China Foreign minister)এবং ইতিমধ্যেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জানা যাচ্ছে, এই সফরের পর তিনি পাকিস্তানেও যেতে পারেন।
জয়শঙ্কর বৈঠকে স্পষ্ট বলেছেন, ভারত-চিন সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা ও স্বার্থের ভিত্তিতে গড়ে উঠতে হবে। দুই দেশের মতভেদ যেন বিবাদে না গড়ায়, সেদিকেও ইঙ্গিত দেন তিনি (China Foreign minister)।
বৈঠকে জয়শঙ্কর আরও বলেন, ভারত-চিন সম্পর্ক নতুনভাবে পর্যালোচনা করা দরকার। পাশাপাশি বহুপাক্ষিক বিশ্বব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হওয়া উচিত। তিনি জানান, ভারত শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু বহুপাক্ষিক বিশ্বব্যবস্থার পক্ষেই।
২০২০ সালের গালোয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্পর্ক আবার কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৈলাস মানসরোবর যাত্রা চালু হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী সাংহাই সামিটে যোগ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। তার আগেই ওয়াং ই-র ভারত সফরকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, এই সফরের তাৎপর্য শুধু ভারত-চিন সম্পর্কেই সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্ব রাজনীতিতে এখন ট্রাম্পের শুল্ক নীতি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেই চাপ কমাতে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তবে এই অঙ্ক যে ভারতের পক্ষে একেবারেই সহজ নয়, সে বিষয়েও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন অনেকে।