চাঞ্চল্যকর চহঙ্গুর বাবা (Chhangur Baba) ধর্মান্তর কেলেঙ্কারিতে নতুন মোড়! বৃহস্পতিবার Enforcement Directorate (ED) উত্তরপ্রদেশ ও মুম্বাই মিলিয়ে ১৪টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে মুম্বাইয়ের এক বাড়ি থেকে। সেখানেই ধৃত (Chhangur Baba) নবীনের ঘনিষ্ঠ সহচর শেহজাদ শেখের মোবাইলে পাওয়া গেছে ক্রোয়েশিয়ার মুদ্রা ‘কুনা’-র ছবি। ইডির অনুমান, এই ধর্মান্তর চক্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগ থাকতে পারে। বিদেশি মুদ্রা ব্যবহার করে বড় আর্থিক লেনদেনের সম্ভাবনাও এক্ষেত্রে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ইডির তদন্তে জানা গেছে, শেহজাদ শেখ কিছু জমি বিক্রি করেছিলেন চহঙ্গুর বাবার (Chhangur Baba) কাছে। শুধু তাই নয়, নবীনের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা শেহজাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল বলেও খোঁজ মিলেছে। এসব আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেই চক্রটি চালিত হচ্ছিল বলে মনে করছে ইডি। শেহজাদের মোবাইল ফোনের যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই চহঙ্গুর বাবা(Chhangur Baba) ও তার ঘনিষ্ঠদের মোট ১০টি সম্পত্তি চিহ্নিত করেছে ইডি, যেগুলির মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকারও বেশি। এই সমস্ত সম্পত্তি অচিরেই বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। তল্লাশিতে মিলেছে একাধিক নথিপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ এবং নগদ অর্থের লেনদেনের প্রমাণ।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই গ্রেফতার হন চহঙ্গুর বাবা (Chhangur Baba)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংখ্যালঘু ধর্মে ধর্মান্তর করার জন্য একটি বৃহৎ মাফিয়া চক্র পরিচালনা করতেন তিনি। মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের গরিব, প্রান্তিক ও দুর্বল মানুষদের—বিশেষ করে মহিলাদের এবং নাবালিকাদের—টার্গেট করা হতো।
এই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে উত্তরপ্রদেশ ATS-ও। সূত্রের দাবি, এই ধর্মান্তর চক্রের আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ ৫০০ কোটিরও বেশি! এই বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশি উৎস থেকে আসত বলেও অভিযোগ উঠেছে। এর পেছনে একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠনের যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
চহঙ্গুর বাবার দাবি, “আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। কিছুই জানি না।” কিন্তু তদন্তকারীদের হাতে যা তথ্য এসেছে, তাতে গোটা চক্রের ভেতরের চিত্র ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে। সম্পত্তির পাহাড়, হাওলার টাকা আর আন্তর্জাতিক লিঙ্ক—সব মিলে এটি হতে চলেছে দেশের সাম্প্রতিককালের অন্যতম বড় আর্থিক ও ধর্মীয় ষড়যন্ত্রের মামলা।