ভেলোরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Chennai) ভয়াবহ গাফিলতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মাত্র কয়েকদিনের এক সদ্যোজাত শিশুর আঙুল কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক সিনিয়র নার্সের বিরুদ্ধে। শিশুটির পরিবার এখন শোকাহত ও আতঙ্কে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ মে, ভেলোরের (Chennai) মুল্লিপালায়মের বাসিন্দা বিমলরাজ ও নিবেদিতা তাঁদের পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ওই সরকারি হাসপাতালে। জন্মের পর শিশুটিকে গ্লুকোজ দেওয়ার জন্য হাতে একটি টেপ জড়ানো ছিল। গ্লুকোজ শেষ হয়ে গেলে শিশুটির বাবা নার্সকে ডেকে সেটি পরিবর্তন করতে বলেন (Chennai) ।
অভিযোগ, ওই সময় হেড নার্স মোবাইল ফোনে ব্যস্ত ছিলেন। শিশুটির হাত থেকে টেপ খুলতে গিয়ে অসতর্কভাবে কাঁচি চালিয়ে দেন তিনি। ফলে টেপের সঙ্গে সঙ্গে কেটে যায় সদ্যোজাত শিশুটির ছোট্ট আঙুল।
রক্তাক্ত সন্তানকে দেখে ভেঙে পড়েন বাবা-মা। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, নার্স তাঁদের ওয়ার্ড থেকে বের করে দেন এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা তাঁদের শিশুর কাছে যেতে দেননি। এতটাই অব্যবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন তাঁরা যে সন্তান বাঁচবে কি না, সে নিয়েই ভয় পাচ্ছিলেন।
শিশুটির বাবা আরও বলেন, “টেপ কেটে ফেলার জন্য কাঁচির কোনও দরকারই ছিল না। হাত দিয়েই তা খুলে ফেলা যেত। শুধুমাত্র নার্সের গাফিলতির কারণেই আজ আমার সন্তানের আঙুল কাটা পড়েছে।”
অবস্থার জটিলতা দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে চেন্নাইয়ের এক বিশেষ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। সেখানে শিশুটির আঙুলে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় হইচই পড়ে যাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নার্সের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদি প্রমাণ হয় ডিউটির সময়ে ওই নার্স মোবাইল ব্যবহার করছিলেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি ছোট্ট শিশুর জীবন শুরু হতেই এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার মুখোমুখি হওয়ায় সবার মনে প্রশ্ন—একটা সরকারি হাসপাতালে, যেখানে সর্বোচ্চ যত্নের কথা বলা হয়, সেখানে এত বড় ভুল কীভাবে হতে পারে? নার্সদের দায়িত্ববোধ নিয়ে এবার নতুন করে প্রশ্ন তুলছে সমাজ।