ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ষষ্ঠবারের মতো দাবি করেছেন যে, এই যুদ্ধবিরতির (Ceasefire) মধ্যস্থতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ভারত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে—এই পরিস্থিতি (Ceasefire) ভারত নিজেই সামলেছে এবং কাশ্মীর ইস্যুতে (Ceasefire) কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা গ্রহণযোগ্য নয়।
ভারতের কড়া অবস্থান
শীর্ষ সরকারি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানই প্রথমে যুদ্ধবিরতির জন্য “অনুরোধ” করে, কারণ ভারত কখনোই অকারণে উত্তেজনা বাড়াতে চায় না। “প্রধানমন্ত্রী নিজেও স্পষ্ট বলেছেন, আলোচনার টেবিলে একমাত্র সন্ত্রাসবাদ ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) আছে,” জানান এক সরকারি কর্মকর্তা।
সূত্রের মতে, ট্রাম্পের এই দাবির বিষয়ে ভারত সাবধানে এগোচ্ছে, কারণ এটি “সংবেদনশীল কূটনৈতিক বিষয়”। তবে দেশের সামরিক শক্তির পরিচয় আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশংসা পাচ্ছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। পশ্চিমা মিডিয়াও ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
‘কারগিলের সঙ্গে তুলনা চলে না’
সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ভারতের সামরিক শক্তি আগের তুলনায় অনেক উন্নত। “কারগিল সময়ে আমরা যে অবস্থায় ছিলাম, এখন তার চেয়ে অনেক এগিয়ে। ‘অপারেশন সিন্ধূর’-এর মাধ্যমে সঠিকভাবে তা তুলে ধরা হয়েছে,” জানায় তারা। ভারতীয় সেনার ডিজিএমও-রা পরপর দুটি প্রেস কনফারেন্সে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নিশানা করার পাশাপাশি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতেও হামলার বিষয় তুলে ধরেছেন। এই সব কিছুরই চাক্ষুষ প্রমাণ রয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে।
ট্রাম্পের দাবি ও মার্কিন সম্পর্ক
ট্রাম্প বলেন, “১০ মে শনিবার, আমার প্রশাসন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করে। আমি মনে করি এটি স্থায়ী হবে। আমি বলেছি, যদি তারা শান্তি বজায় রাখে, তবে আমেরিকা তাদের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য করবে।”
তবে ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও কৌশলগত অংশীদার। তাই কূটনৈতিক সংযম বজায় রাখা জরুরি। “বাণিজ্য, ট্যারিফ, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ ও ভিসা—সবক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,” জানান এক কর্মকর্তা।