২৩ এপ্রিল ভুলবশত সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন বিএসএফ জওয়ান (BSF Jawan) পূর্ণম কুমার সাউ। পাক রেঞ্জারদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর টানা তিন সপ্তাহ বন্দি ছিলেন তিনি (BSF Jawan)। ১৪ মে তাঁকে (BSF Jawan)ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয় অটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানে তাঁর ওপর কোনো শারীরিক নির্যাতন না হলেও চরম মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন তিনি। দিনের পর দিন তাঁকে ঘুমাতে দেওয়া হয়নি, সময়মতো শৌচাগারে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি, চোখ বেঁধে রাখা হয়েছে বারবার, এমনকি সীমান্তে বিএসএফ-এর মোতায়েন সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য বার বার তাঁর ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে
এই অজানা পরিস্থিতি ও মানসিক চাপে বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ তীব্র মানসিক ট্রমায় ভুগছেন। বর্তমানে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ তাঁকে ধাপে ধাপে ডি-ব্রিফ করে ট্রমা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
এসএফ এবং পাকিস্তান রেঞ্জারদের মধ্যে একাধিকবার আলোচনার পরেই তাঁর মুক্তি সম্ভব হয়। তবে প্রতিবার পাকিস্তান পক্ষ জানায়—”উচ্চপদস্থদের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছি।”
১৪ মে সকাল ১০.৩০টা নাগাদ তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সরকার জানায়, এই হস্তান্তর শান্তিপূর্ণভাবে এবং প্রোটোকল অনুযায়ী হয়েছে। পূর্ণমের বাড়ি রিষড়ায়। তাঁর পরিবারের সদস্যরা কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, যে তারা এত দ্রুত এবং নিরাপদভাবে তাঁকে ফিরিয়ে এনেছে। স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে পূর্ণম সাউয়ের স্ত্রী রজনী পাঠানকোটে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।